১০ লাখ চাকরি রেডি আছে, শুধু বিজেপি-সিপিএম কোর্টে যাচ্ছে: মমতা
এই সময় | ০৭ মে ২০২৪
শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি বাতিল নিয়ে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী 'যোগ্য' চাকরিহারাদের দের জন্য মোদী রাজ্য বিজেপিকে যে লিগ্যাল সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন, সেটিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা।কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?পুরুলিয়ার নির্বাচনীর সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি খেয়ে নিল, আর ভোটের আগে বলছে, আমরাও চেষ্টা করব। কী করবে? তোমাদের সিবিআই-ই তো রিপোর্ট দিয়েছে। তুমিই তো সিবিআই-কে দিয়ে রিপোর্ট করিয়ে যাঁরা যোগ্য তাঁদেরও চাকরি খেয়ে নিয়েছ। আমার ১০ লাখ চাকরি রেডি আছে, শুধু বিজেপি আর সিপিএম-এর লোকেরা কোর্টে চলে যাচ্ছে, একটা করে জনস্বার্থ মামলা করছে। আর জনস্বার্থ মামলা করলেই হাইকোর্ট দিয়ে দিচ্ছে। আমাদের বেলায় জেল, ওদের বেলায় বেল, এই করে মোদী বিজেপিকে করছে সেল।'
আদালতের রায়ে গোটা প্যানেল বাতিলপ্রসঙ্গত, হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে গিয়েছে এসএসসি ২০১৬ সালের প্যানেল। যার ফলে চাকরি বাতিল হয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতরে দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার, এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবারও শীর্ষ আদালতে সেই মামলার শুনানি। আর সেদিনই ফের একবার এমন কথা বলতে শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এদিন সুপার নিউমেরিক পোস্ট প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার পক্ষে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করে রাজ্য সরকার। সেখানে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, 'মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে অনিয়মের কোনও প্রমাণ পাওয়ায় যায়নি, কেবলমাত্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৈঠক হয়েছি। কিন্তু, কোনও কিছুই প্রয়োগ হয়নি। এরপরেও সমগ্র মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলে সংসদীয় গণতন্ত্রের কী হবে?'
রাজ্য তরফে সুপ্রিম কোর্টে আরও জানান হয়, সুপার নিউমেরিক পদ তৈরি করার নেপথ্যে রাজ্যের কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না। মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রসঙ্গে এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই, এর আওতাতে রয়েছে সুপারনিউমেরিক পোস্টও।' আদালতে রাজ্যের অপর এক আইনজীবী বলেন, 'মন্ত্রিসভা কেবল ওয়েটিং লিস্ট থেকে সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি করার জন্য নোট নেয়। এক্ষেত্রে আলাদা করে কোনও নিয়োগ করা হয়নি। সেক্ষেত্রে মন্ত্রিসভা এই বিষয়ে কী অপরাধ করল?' শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'এক্ষেত্রে পদ্ধতিগত জালিয়াতি করা হয়েছে।'