• সাড়ে পাঁচ হাজার নয়, বেআইনি নিয়োগ আরও বেশি, SSCর সওয়ালে বেরিয়ে এল আসল তথ্য
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ মে ২০২৪
  • কলকাতা হাইকোর্টের নির্দিষ্ট করে নেওয়া সংখ্যার থেকে ২০১৬ নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অবৈধ নিয়োগের সংখ্যা আরও বেশি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করে একথা কার্যত মেনে নিল SSC. এদিন প্রথমবার আদালতে অভিযোগহীন নিয়োগের সংখ্যা জানায় তারা। সঙ্গে জানায়, যোগ্যদের তালিকা আদালতে পেশ করার মতো পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে তাদের হাতে। তবে সেই তথ্যের উৎস কী তা এখনও অজানা।

    পড়তে থাকুন: সন্দেশখালিতে ধর্মের ভিত্তিতে মহিলাদের ধর্ষণ করেছে শেখ শাহজাহানরা: অমিত শাহ

    মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে SSCর আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, প্রায় ১৯ হাজার নিয়োগ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। ফলে এই নিয়োগকে বৈধ বলা যেতে পারে। সঙ্গে তিনি জানান, অবৈধ নিয়োগ বেশি হয়েছে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডির ক্ষেত্রে। শিক্ষকপদে অবৈধ নিয়োগের সংখ্যা কম। নবম - দশমে প্রায় ৯ শতাংশ ও একাদশ – দ্বাদশে প্রায় ১২ শতাংশ।

    এর আগে সিবিআই তদন্তে উঠে আসে ২০১৬ সালে SSCতে অবৈধ নিয়োগের সংখ্যা ৫,৫৩৭। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অযোগ্যদের বেতন ফেরতের নির্দেশ দেয় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। সেদিন SSCর ২৫,৭৫৩ জনের প্যানেলও খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করে SSCর তরফে জানানো হয়েছে, ২৫,৭৫৩ জনের মধ্যে বৈধ নিয়োগের সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজার। SSCর দাবি থেকেই স্পষ্ট, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ নিয়োগের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। যা সিবিআই তদন্তে উঠে আসা সংখ্যার থেকেও প্রায় দেড় হাজার বেশি।

    ওদিকে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, CBI তদন্ত অনুসারে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ জনের নিয়োগ নিশ্চিতভাবে অবৈধ। এর বাইরেও অবৈধ নিয়োগ থাকতে পারে। 

    এদিন আদালতে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে SSCকে। যে ভাবে টেন্ডার ছাড়াই নায়সা নামে সংস্থাটিকে OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাতে জালিয়াতি স্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি। কেন প্রার্থীদের মূল্যায়ন সংক্রান্ত তথ্য এসএসসি নিজের কাছে না রেখে বেসরকারি সংস্থার কাছে রেখে দিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। আদালতের মন্তব্য, জনগণের তথ্য কি বেসরকারি সংস্থার কাছে ফেলে রাখা যায়? এতে তো নিয়োগপ্রক্রিয়ার পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)