• ১৯ হাজার চাকরি বৈধ, দিতে পারব তালিকাও, সুপ্রিমকোর্টে শুনানিতে প্রথমবার বলল SSC
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ মে ২০২৪
  • SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনানিতে মঙ্গলবারও চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে কোনও সওয়াল করল না রাজ্য সরকার। বরং অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তা খারিজ করার পক্ষে এদিনও সওয়াল করেন রাজ্যের আইনজীবী। মঙ্গলবারের শুনানিতেও এই বিষয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যেকে। এদিন আদালতে SSC জানায় ১৯ হাজার নিয়োগ বৈধ।

    পড়তে থাকুন: সন্দেশখালিতে ধর্মের ভিত্তিতে মহিলাদের ধর্ষণ করেছে শেখ শাহজাহানরা: অমিত শাহ

    এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে সওয়াল করে বলা হয়, যোগ্য – অযোগ্যদে আলাদা করার জন্য পর্যাপ্ত নথি তাদের কাছে রয়েছে কি না তা বলতে পারবে SSC. পুরো প্যানেল বাতিলের প্রয়োজন ছিল কি না তাও জানাতে পারবে তারা। এর পর রাজ্যের আইনজীবী বলেন, যে ভাবে চাকরি বাতিল হয়েছে তাতে রাজ্য উদ্বিগ্ন।

    এর পরই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরিতে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের ওপরে সিবিআই তদন্ত খারিজের দাবিতে সওয়াল করতে শুরু করেন রাজ্যের আইনজীবী। তিনি বলেন, অতিরক্ত শূন্যপদ তৈরি হয়েছে নিয়ম মেনে। SSCর সুপারিশের ভিত্তিতেই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। শূন্যপদ তৈরি হলেও হাইকোর্টের নির্দেশে এই পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এর পরই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর ৬ বছর পরে কেন তৈরি করা হল শূন্যপদ? ৬ বছর পর ওয়েটিং লিস্টে থাকা কোনও প্রার্থী চাকরি চাইতে এলে তো বলতেন প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই ৬৮০০ শূন্যপদ তৈরি হয়ে গেল? বিষয়টি বিচারাধীন থাকলেও কেন এই পদক্ষেপ করল মন্ত্রিসভা?

    এদিন প্রধান বিচারপতি SSCর কাছে জানতে চান, তাদের কাছে OMR শিট বা তার স্ক্যান কপি রয়েছে কি না। জবাবে SSC জানায়, OMR শিট বা তার স্ক্যান কপি তাদের কাছে নেই। রয়েছে নাইসার কাছে। তখন প্রধন বিচারপতি বলেন, এই তথ্য তো SSCর কাছে থাকা উচিত। এই তথ্য SSCর কাছে না থাকলে তো গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যাওয়া উচিত। SSC কি বলতে পারবে কতজনের নিয়োগ বৈধ? তখন SSC আদালতকে জানায়, প্রায় ১৯ হাজার নিয়োগ মেধাতালিকা মেনে হয়েছে। এই ১৯ হাজার নিয়োগ বৈধ। তার তালিকা আদালতে জমা দিতে পারবে SSC. 

    গত ২২ এপ্রিল এক রায়ে ২০১৬র SSCর নিয়োগপ্রক্রিয়া বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। এর জেরে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে গিয়েছে। আদালত জানায়, এই প্যানেলে কে যোগ্য আর কে অযোগ্য তা আদালতকে জানাতে পারেনি SSC. ফলে বাধ্য হয়ে গোটা প্যানেল বাতিল করেছে তারা। সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, এটা স্পষ্ট যে দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়াদের বাঁচাতেই রাজ্য মন্ত্রিসভা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কী ভাবে কেন নেওয়া হয়েছে তা তদন্ত করে দেখবে CBI. দরকারে এই সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছেন তাদের হেফাজতে নিতে পারবে CBI.

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)