কারও কাছে বড় প্রাপ্তি, কেউ চান হৃত সম্মান ফিরে পেতে, সুপ্রিম-রায় নিয়ে কী বলছেন শিক্ষকরা?
এই সময় | ০৮ মে ২০২৪
এসএসসি মামলায় সংক্ষিপ্ত রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় অনুযায়ী আপাতত কারও চাকরি বাতিল হচ্ছে না। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ জুলাই। আর আদালতের এই রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে চাকরি হারিয়েও আপাতত তা ফেরত পাওয়া শিক্ষক শিক্ষিকারা।কী বলছেন শিক্ষিকারা?শীর্ষ আদালতের এই সংক্ষিপ্ত রায়ের প্রেক্ষিতে শিক্ষিকা স্বর্ণালী চক্রবর্তী বলেন, 'প্রধান বিচারপতি আমাদের দিকটা বুঝতে পেরেছেন, যে আমরা কোনওরকম বেআইনি কাজ করে চাকরি পাইনি। এটা আজকে বিরাট বড় প্রাপ্তি। এসএসসি-র চেয়ারম্যান তাঁর কথা রেখেছেন, ১৯ হাজারের পাশে রয়েছেন, এটা আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি। জানি না ১৬ জুলাই কী হবে, তবে আমরা অনেকটা শান্তি পেয়েছি এটা ভেবে যে আমাদের পাশে অন্তত বিচার ব্যবস্থা আছে। আমরা কোনও অপরাধ করিনি, কেন আমাদের এত বড় সাজা দেওয়া হল, এটা আমাদের প্রশ্ন।'
আবার মৈত্রী সরকার নামে অপর এক শিক্ষিকা বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের উপরে ভরসা ছিল, এখনও আছে। আমরা জানি যোগ্যরা অবশ্যই সুবিচার পাবে। অযোগ্যরা অবশ্যই যোগ্যদের থেকে আলাদা হবে, আর সেটা হওয়াই উচিত। আমরা শিক্ষক, আমরা যেহেতু সমাজ তৈরি করব, তাই এখানে যোগ্য ও অযোগ্য পৃথক হওয়াটা সত্যিই খুব দরকার। আমরা যোগ্য, আমাদের যোগ্যতার প্রমাণ আমরা বারেবারে দিতে রাজি, কিন্তু অযোগ্যরা অবশ্যই পৃথক হোক।' মৈত্রী আরও বলেন, 'এই নির্দেশের ফলে আপাতত স্বস্তি হয়ত কিছুটা এল, কিন্তু পুরোপুরি স্বস্তি সেইদিন আসবে, যেদিন আমরা অযোগ্যদের থেকে আলাদা হব। যেদিন হৃত সম্মান ফেরৎ পাব যে আমরা সত্যিই যোগ্য, সেইদিন পুরোপুরি স্বস্তি ফিরবে। বিচার ব্যবস্থার উপরে আমাদের ভরসা ছিল আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে।'
প্যানেল বাতিল করেছিল হাইকোর্টপ্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ দেয় আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার, এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। শুনানিতে সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনে শীর্ষ আদালত। সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শেষে হাইকোর্টের রায়ের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ জুলাই।