Kolkata Municipal Corporation: বৃষ্টি হলেও জমা জল সরবে দ্রুত, আশ্বাস দিচ্ছে পুরসভা
এই সময় | ০৮ মে ২০২৪
এই সময়: কলকাতায় এক ঘণ্টায় ১০০ মিলি মিটার বৃষ্টি হলেই জমা জল সরাতে সময় লাগবে সাত ঘণ্টা। পুরসভার নিকাশি বিভাগের আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, ‘এক সময়ে কলকাতার নিকাশি পথ থেকে বৃষ্টির জল নেমে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৬.৮ থেকে ৬.১০ মিলিমিটার। এখন ম্যানহোল থেকে লাগাতার পলি তোলার ফলে জল নামার ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ মিলি মিটার। আর এই কারণেই এ বার বর্ষার মরশুমে শহরে জল জমলেও নামার ক্ষেত্রে সময় ধার্য করা হয়েছে সর্বোচ্চ আট ঘণ্টা।পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, শহরে নিকাশি পথ আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি পরিষ্কার হওয়ার জন্যই এই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্ষায় শহরের নিকাশি পথ মসৃণ রাখতে ধারাবাহিকভাবে কলকাতার ম্যানহোল থেকে পলি তোলার কাজ চালাচ্ছে পুরসভার নিকাশি বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকদের যুক্তি, শহরে বৃষ্টির জমা জল সরার সঙ্গে হুগলি নদীর জোয়ার-ভাটার সম্পর্ক রয়েছে। শহরের নিকাশি পথ থেকে সমস্ত জল গিয়ে পড়ে হুগলি নদীতে। যে সব লকগেটের মধ্য দিয়ে এই জল নদীতে পড়ে, জোয়ারের সময়ে সেই লকগেট বন্ধ রাখতে হয়। জোয়ার নামলে ফের তা খুলে দেওয়া হয়। এতে বৃষ্টির জমা জল নিকাশির পথ ধরে নদীতে চলে যায়। শহরও জমা জলের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায়।
নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন,‘বৃষ্টিপাতের পরিমাণের উপরে নির্ভর করে জল সরার সময়। শহরের অধিকাংশ ম্যানহোল থেকে গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার পলি তোলার জন্য এখন ঘণ্টায় ১০০ মিলি মিটার বৃষ্টি হলে জমা জল সরতে সময় লাগবে সাত ঘণ্টার মতো। কিন্তু বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দ্বিগুণ হলে, জমা জল সরার সময়ও বেড়ে যাবে।’ নিকাশি বিভাগের আধিকারিকদের আশঙ্কা, গরম বেশি পড়ায় আসন্ন বর্ষায় এ বার শহরে স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। জমা জল যাতে দ্রুত বের হতে পারে সে জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় ম্যনাহোল পরিষ্কার করার কাজ নিয়মিত চলছে। শহরের প্রায় ৭৫ শতাংশ এলাকায় এই পলি তোলার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।