নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুলে আগুন ধরাতে গিয়ে বিপত্তি! পুড়ে ছারখার কর্নাটকে কংগ্রেস কর্মীদের লুঙ্গি। এই ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করে ইন্ডিয়া টুডে। আর তাতেই স্পষ্ট হয় যে ভিডিয়োটি সত্য নয়।ঠিক কী ভাইরাল হয়েছে?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ক্যাপশানে লেখা, 'কর্নাটকে মোদীর কুশপুতুলে আগুন ধরাতে গিয়ে লুঙ্গি পুড়ে গেল পাঁচজন কংগ্রেস কর্মীর। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটেঠে তা দেখুন। এখন মোদীজির কুশপুতুলও শিক্ষা দেওয়া শুরু করেছে। এটাই মোদীজির শক্তি।' এই ক্যাপশানের সঙ্গে একটি ভিডিয়োও জোড়া হয়।
undefined
এক্স হ্যান্ডেলে এই ভিডিয়ো শেয়ার হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডের তদন্তে উঠে আসে ভিডিয়োটি ২০১২ সালের এবং কেরালাতে ছাত্র আন্দোলনকারীরা এমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কুশপুতুল পোড়াতে গিয়েছিল। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে।
তদন্তে ঠিক কী উঠে আসছে?
এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করার জন্য কি ওয়ার্ড ফ্রেমের একটি রিভার্স সার্চ করা হয় যা একটি ফেসবুক পোস্টে নিয়ে যায়। এই ফেসবুক পোস্টের 'গুণমান' তুলনামূলক ভালো। আর পোস্টটিতে তারিখ দেওয়া ছিল ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর। আর পোস্টটিতে দাবি করা হয় ক্লিপটি কেরালার। পাশাপাশি ভিডিয়োতে যে দোকানগুলি দেখা যাচ্ছে সেখানে মালায়ালামে লেখা রয়েছে।
বিভিন্ন রিপোর্ট মোতাবেক জানা যায়, এমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের কুশপুতুল পোড়ায় কেরালার ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। আর সেই কাজ করতে গিয়ে তাঁদের কাপড়েও আগুন ধরে যায়। এই ভিডিয়োতে প্রতিবাদীদের কেএসইউ ফ্যাগ বইতেও দেখা যায়।
২০১২ সালে জুলাই মাসে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট আমরা খুঁজে পাই যেখানে দেখা যায় পড়ুয়ারা এমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সেই রিপোর্টে আরও বলা হয়, কিছু বিক্ষোভকারীরা আহত হয়েছিলেন আগুন লেগে এবং তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঠিক কী সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গিয়েছে?
উপরুক্ত তদন্তে এটা স্পষ্ট হয় যে ভিডিয়োটি এখনকার নয়। তা আজ থেকে ১২ বছর আগের। কেরালাতে ছাত্রদের বিক্ষোভ থেকে এই ভিডিয়োটি তোলা হয়। কর্নাটকে কংগ্রেসের বিক্ষোভের দাবি করে ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে পোস্ট করা হয়েছে। এই ভিডিয়োটি যে বিষয়টি উপস্থাপিত করা হয়েছে তা একেবারেই সত্যি নয় এবং তা কোনওভাবেই সাম্প্রতিক সময়ের নয়, তা একেবারেই স্পষ্ট।
(This story was originally published by India Today and translated and edited by Ei Samay Digital as part of the Shakti Collective)