অরূপ বসাক: খাবারের খোঁজে রাতের অন্ধকারে হাতি এসে ভেঙে দিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এ নিয়ে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি কয়েকবার ভেঙেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের আইভিল চা-বাগানের কুর্তি এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এটি।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে আইভিল চা-বাগান সংলগ্ন খাড়িয়ারবন্দর জঙ্গল থেকে একটি হাতি এসেছিল আইভিল চা-বাগান এলাকায়। সারা রাত চা-বাগান ঘুরে অবশেষে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হানা দেয় হাতিটি। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের একপাশের অংশের দেওয়াল ভেঙে দেয় এটি। এরপর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মজুদ চালও সাবাড় করে। মঙ্গলবার ভোর নাগাদ আবার জঙ্গলে ফিরে যায় হাতিটি। এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য বলেন, এই নিয়ে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি দুবার ভেঙেছে হাতি। গতকাল যে ভাবে ভেঙেছে এটি তাতে আজ, মঙ্গলবার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা করা সম্ভব হয়নি বাচ্চাদের। যখন-তখন হুড়মুড়িয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি ভেঙে পড়তে পারে। তিনি জানান, তাঁরা প্রশাসনকে বলবেন যত দ্রুত সম্ভব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি মেরামত করে দিতে। এমন অবস্থায় এই কেন্দ্রে পড়াশোনা করা সমস্যা হয়ে পড়ল।এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী স্বপ্না সরকার বলেন, যেভাবে হাতিটি এই কেন্দ্রের উপর হামলা চালিয়েছে, তাতে কেন্দ্রের ভেতর বাচ্চাদের নিয়ে পড়াশোনা অসম্ভব। অবিলম্বে কেন্দ্রটি সংস্কার করা দরকার। এর আগেও এই কেন্দ্রে হাতি হামলা চালিয়েছিল। যেহেতু এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চা-বাগান এলাকায় অবস্থিত, তাই চা-বাগানের মায়েরা কাজে যাওয়ার আগে বাচ্চাদের এই কেন্দ্রে রেখে কাজে যান। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এই কেন্দ্রে এখন বাচ্চাদের রাখলে বড় বিপদ ঘটতে পারে। বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেই যাতে বাচ্চাদের অন্য জায়গায় রেখে পড়াশোনা করানো যায়। সামনেই বর্ষা তাই এখনই কেন্দ্রটি ঠিক না করা হলে, সমস্যা আরও বাড়বে। সমস্যা হবে মিড ডে মিলেরও। চালসা বন দফতরের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস মিলেছে।