• Kolkata Road Accident : বিনা হেলমেটে বাইকে, গতির বলি তিন যুবক
    এই সময় | ০৮ মে ২০২৪
  • এই সময়: বাইক চালানোর সময়ে চালক এবং সওয়ারিদের মাথায় যেন হেলমেট থাকে, দীর্ঘদিন থেকে লাগাতার এই প্রচার চালিয়ে আসছে পুলিশ। কিন্তু, সচেতনামূলক সেই প্রচারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাস্তায় বেপরোয়া ভাবে ঘুরছেন অনেকেই। তার জেরে ঘটছে দুর্ঘটনাও। সোমবার রাতে পর পর দুটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মৃতদের নাম, অমিত কুমার সিং (২২), তানিশ প্রসাদ (১৫) এবং বাপি বিশাল (২১)।মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এই তিনজনের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন,‘হেলমেট পরতে বলা হয় সুরক্ষার কারণে। মাথায় হেলমেট থাকায় অনেক বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়েও অনেকে বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু, এটাও ঠিক যে লাগাতার প্রচার এবং জরিমানা নেওয়ার পরেও অনেককেই সচেতন করা সম্ভব হচ্ছে না।’

    পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হরিদেবপুর থানা এলাকায়। বাইকটি চালাচ্ছিলেন অমিত। পিছনের সিটে বসেছিলেন তানিশ। কৈলাস ঘোষ রোড দিয়ে যাওয়ার সময়ে আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে পুকুরে পড়ে যায় বাইকটি। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকলকে।

    দুজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে। সেখানেই দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বাইকটি হাইস্পিডে ছিল। কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাত সোয়া এগারোটা নাগাদ আনন্দপুর থানা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আরও একটি বাইক।

    পুলিশ জানিয়েছে, পূবালি আবাসনের কাছে আনন্দপুর মেন রোডে একটি পণ্যবাহী গাড়ি সামনের বাইকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার জেরে বাইক থেকে পড়ে যান চৌবাগার বাসিন্দা বাপি। আহত অবস্থায় ওই যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পণ্যবাহী গাড়ির পাশাপাশি চালককে আটক করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।

    নিত্যযাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, রাতের শহরে বেপরোয়া বাইকের দৌরাত্ম্য সবেচেয়ে বেশি। কড়া নজরদারির অভাবেই এই পরিস্থিতি। যদিও কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের কর্তাদের বক্তব্য, বেপরোয়া বাইক চালকদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে শহরের সর্বত্রই নজরদারি রয়েছে। হেলমেট ছাড়া রাস্তায় দেখলে ফাইনও করা হয়। বছরভর এর বিরুদ্ধে সচেতনামূলক প্রচার করা হলেও অনেকেই তা কানে

    তোলেন না।
  • Link to this news (এই সময়)