ওয়াহ ‘WAH’! ক্লাইমেট চেঞ্জের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একদিন ‘ইস্ত্রিহীন’
এই সময় | ০৮ মে ২০২৪
নয়াদিল্লি: একটি নামী ডিটারজেন্টের বিজ্ঞাপনে শোনা যায় ক্যাচলাইনটা — ‘দাগ আচ্ছে হ্যায়’। শিশুদের সামগ্রিক বেড়ে ওঠার পথে সকলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়, কোনও কারণে জামাকাপড় নোংরা হলেও চিন্তা নেই। ওই ডিটারজেন্টে ধুয়ে নিলেই সব পরিষ্কার। তাই ‘দাগ আচ্ছে হ্যায়।’এ বার শোনা গেল — ‘রিঙ্কলস আচ্ছে হ্যায় (WAH)।’ সৌজন্যে ভারতে সিভিলিয়ান রিসার্চ ল্যাবের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক ‘কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ (সিএসআইআর)। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতীকী লড়াইয়ে প্রতি সোমবার ইস্ত্রি না-করা জামাকাপড় পরে সেন্টারে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে সিএসআইআর-এর তরফে।
এই উদ্যোগের নামই ‘WAH Mondays।’ ইস্ত্রি না করলে পোশাকে স্বাভাবিক ভাবেই কিছু রিঙ্কল বা কোঁচকানো ভাব থেকে যাবে। সেই সূত্রেই এমন নাম। এমনিতে বহু কর্পোরেট সংস্থায় সপ্তাহান্ত শুরুর আগের দিন, শুক্রবার ফরম্যালের বদলে সেমি-ফরম্যাল, আরামদায়ক জামাকাপড় পরে যেতে পারেন কর্মীরা। যাকে ‘থ্যাঙ্ক গড ইট’স ফ্রাইডে’ বা ‘ক্যাজ়ুয়াল ফ্রাইডে’ ড্রেস কোড বলা হয়ে থাকে। কিন্তু তার পিছনের দর্শনটা আলাদা। আর WAH Mondays-এর ভাবনা অন্য। সেটা কী?
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’-এর সচিব তথা সিএসআইআর-এর প্রথম মহিলা ডিরেক্টর জেনারেল এন কলাইসেলভি বিষয়টা ব্যাখ্যা করছেন। তিনি জানান, এই উদ্যোগ তাঁদের বৃহত্তর এনার্জি লিটারেসি ক্যাম্পেনের অংশ। ১ থেকে ১৫ মে-র মধ্যে ‘স্বচ্ছতা পাখওয়াড়া’তে শুরু হয়েছে এই ক্যাম্পেন।
কলাইসেলভি-র কথায়, ‘এক সেট জামাকাপড় ইস্ত্রি করার সময়ে গড়ে ২০০ গ্রাম কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়। ফলে, একদিন পোশাক ইস্ত্রি না করলে এই পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড এমিশন রোখা সম্ভব।’ এনার্জি সংরক্ষণের লক্ষ্যে আরও কিছু পদক্ষেপ করছে সিএসআইআর। দেশ জুড়ে বিভিন্ন ল্যাবে বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে কিছু স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর (এসওপি) শুরু করছে তারা।
প্রাথমিক ভাবে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ-ব্যবহার কমানোর টার্গেট দেওয়া হয়েছে। আগামী মাস থেকে অগস্ট পর্যন্ত এসওপি-গুলি পাইলট ট্রায়াল হিসেবে শুরু করা হবে। সম্প্রতি দেশের সবচেয়ে বড় ‘ক্লাইমেট ক্লক’-ও ইনস্টল করা হয়েছে দিল্লিতে সিএসআইআর-এর হেডকোয়ার্টার্সে।