'এই আক্রমণ নতুন নয়...', সুপ্রিম নির্দেশের পর কী বলছেন ক্যানসার আক্রান্ত সোমা?
এই সময় | ০৮ মে ২০২৪
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালে SSC-র নিয়োগের গোটা প্যানেল বাতিল করলেও চাকরিতে বহাল রেখেছিল সোমা দাসকে। উল্লেখ্য, ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাস চাকরি পেয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুপারিশে।সোমবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন আপাতত চাকরিতে বহাল থাকছেন। এই রায়ের প্রেক্ষিতে ঠিক কী বলছেন সোমা দাস? তিনি এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, ‘পুরো বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সর্বোচ্চ আদালত যা মনে করেছে সেটা করেছে। তবে এটা ঠিক যে অনেকে যোগ্য ছিল যাঁদের চাকরি গিয়েছিল। তাঁরা স্বস্তি পাবেন। এই দুই মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন হলে আশা করি যোগ্যরা সুবিচার পাবেন।’
এদিকে সোমা দাসকে চাকরিতে বহাল রাখার পর বেশ কয়েকজন ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীরা দাবি করেছিলেন, যদি মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে বিচার করে সোমাকে চাকরিতে বহাল রাখা হয়, সেক্ষেত্রে তাঁদের চাকরি কেন বাতিল করা হবে? এই প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা।
এবার এই প্রসঙ্গে সোমা দাস বলেন, ‘এই আক্রমণটা আমার কাছে নতুন নয়। যখন থেকে আমি চাকরি পাই সেই সময় থেকেই শুরু হয়েছে। তবে এটা বলব যে এটা মানুষ হিসেবেও খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ সকলের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। সেই দিক থেকে তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত কথা বলছেন কষ্ট থেকে হোক বা দুঃখ থেকে হোক। এটা তাঁদের দোষ নয়। তাঁরা পরিস্থিতির শিকার, যেমন আমি পরিস্থিতির শিকার। বাস্তবতার শিকার। সেখানে তাঁদের দোষ দেওয়ার কোনও জায়গাই আমি দেখি না। তাঁদের চাকরি হয়ে গেলে সোমা দাসকে ভুলে যাবে।’
উল্লেখ্য, সোমা দাস হাইকোর্টের রায়ের পর নিজের চাকরি বহাল থাকা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'যাঁরা আমার সঙ্গে আন্দোলন করেছিলেন সেই সহযোদ্ধারা নিজের অধিকার এখনও পাননি।’ তিনি আরও বলেছিলেন, 'ক্যানসার আক্রান্ত রোগী হিসেবে আমি মঞ্চে যাইনি। পরিস্থিতির জন্য সেই সময় তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গোটা বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে বিচার করেন। আমিও অন্যান্যদের সঙ্গে আন্দোলন করেই চাকরিটা পেতে চেয়েছিলাম। আমার সহযোদ্ধারা চাকরি পেলে খুশি হব।’