প্রসেনজিৎ সর্দার: ভালোবেসে বিয়ে করেছিল একসময়। কিন্তু সেই ভালোবাসার মানুষ যে এতটা বদলে যেতে পারে তা কল্পনাও করেননি তিনি। বিয়ের পর স্ত্রীকে প্রায় সময় নেশা করার জন্য বাপরে বাড়ি থেকে টাকা আনার আবদার করতে থাকে স্বামী। আর সেই টাকা মাঝে মধ্যে না মেটানোর কারণে প্রায় সময় স্ত্রীর সঙ্গে বচসা বাধে। এর জেরেই পা ভেঙে, শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় আটক স্বামী-সহ শাশুড়ি। তদন্তে পুলিস।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়া থানার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েত চৌধুরী গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক মাস প্রেম করার পর কুলটি গ্রামের বাসিন্দা ২৩ বছরের মধুমিতা মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় চৌধুরী গ্রামের বাসিন্দা অনুপম মন্ডলের। তাদের এক ছোট্ট সন্তানও হয়। কিন্তু মেয়ের বাড়ির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কয়েক মাস পরে থেকে প্রায় সময় তার স্বামী নেশা করার জন্য স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার চাপ দিত।সেই টাকার দাবি স্ত্রীর পরিবার মাঝেমধ্যে না মেটালে প্রায় সময় স্ত্রীকে মারধর করতে বলে অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। এদিন স্বামীর নেশা করার টাকার আবদার বাপের বাড়ি থেকে টাকা না পাঠানোর কারণে তাদের বাড়ির মেয়েকে ব্যাপকভাবে মারধর করে ও শ্বাস রোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। তার একটি পা-ও ভেঙে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ মেয়ের পরিবারের।এমনই ঘটনার খবর পেয়ে এরপর মেয়ের বাপের বাড়ির লোকজন মেয়েকে নিয়ে ভাঙ্গর নলমুড়ি হাসপাতাল নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় মেয়ের বাড়ির তরফ থেকে ভাঙ্গড় থানা ও হাড়োয়া থানাতে অভিযোগ দায়ের করে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে হাড়োয়া থানার পুলিস স্বামী-সহ শাশুড়িকে আটক করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় এলাকা ছড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। তদন্তে পুলিস।