বিভিন্ন শহর থেকে ভাড়া করে অভিনব পন্থায় গাড়ি চুরি! কলকাতা পুলিশের জালে মূলচক্রী
প্রতিদিন | ০৮ মে ২০২৪
অর্ণব আইচ: ভিন রাজ্যে যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া করে অভিনব পন্থায় তা লোপাট। কলকাতা শহরে এমনই ঘটনার তদন্তে নেমে চক্রের মূল মাথাকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাহুল রঞ্জন। বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে এই গাড়ি চুরির চক্র চালাত অভিযুক্ত। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) রাঁচির জেলে বন্দি ছিল অভিযুক্ত। সেখান থেকেই তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে শহরে নিয়ে আসে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।
পুলিশ জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুর ওই ব্যক্তি গাড়ি চুরির জন্যই কলকাতায় আসেন। উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট অঞ্চলকেই সে তার ‘অপারেশন’-এর জন্য বেছে নেয়। নিজেকে কলকাতার নামী ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়ে আমহার্স্ট স্ট্রিট অঞ্চলেরই একটি পরিবহণ সংস্থায় যায়। সেখান থেকে ভাড়া নেওয়া হয় গাড়ি। এই ধরনের সংস্থা তাদের ভাড়া দেওয়া গাড়িতে সর্বদা জিপিএস লাগিয়ে রাখে। সংস্থাকে অভিযুক্ত জানান, বিশেষ কাজে তিনি বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন। দিন সাতেক সেখানে থেকে ফের কলকাতায় এসে গাড়ি ফেরত দিয়ে দেবেন। সেইমতো আগাম ভাড়া দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেঙ্গালুরুতে যান তিনি। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে পৌঁছনোর পর কৌশলে বন্ধ করে দেওয়া হয় জিপিএস। এর পর কর্নাটকের গাড়ি চুরির সিন্ডিকেটের কাছে সে চড়া দামে বিক্রি করে দেয় সেটি।
এদিকে জিপিএস বন্ধ দেখে সংস্থাটি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু দেখা যায় তাঁর ফোন বন্ধ। এর পরই সংস্থার তরফে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজে পাওয়া অভিযুক্তের ছবি দেখে তদন্ত শুরু করে। বিভিন্ন রাজ্যে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পক্ষ থেকে ব্যক্তির ছবি পাঠানো হয়। সেই সূত্র ধরেই কলকাতা পুলিশ জানতে পারে, একইভাবে অভিযুক্ত ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি পরিবহণ সংস্থা থেকে গাড়ি চুরি করে বেঙ্গালুরুতে বিক্রি করেছিল। রাঁচির পুলিশ বেঙ্গালুরুতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রাঁচির বিরসামুন্ডা জেলে বন্দি রয়েছে অভিযুক্ত।
মূল পাণ্ডার সন্ধান মেলার পর আদালতের অনুমতি নিয়ে রাঁচির ওই জেল থেকেই রাহুল রঞ্জন নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। এর পর সেখান থেকে শহরে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। অভিযুক্তকে জেরা করে বেঙ্গালুরুর গাড়ি চুরির সিন্ডিকেটের সন্ধান চলছে। সেই সূত্র ধরে চোরাই গাড়ি উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।