Alipore Zoo: ৪৩ ডিগ্রি গরমেও ২,৫০০ টিকিট বিক্রি চিড়িয়াখানায়!
এই সময় | ০৮ মে ২০২৪
এই সময়: ব্যাটারিচালিত পোর্টেবল পাখাটা ব্যাগ থেকে বার করে অন্য সহকর্মীদের দেখাচ্ছিলেন শুভম সিং। আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘের এনক্লোজ়ার দেখাশোনার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে শুভম অন্যতম। মঙ্গলবার দুপুরে সুরক্ষা ডায়াগনস্টিকসের থেকে যে ‘সুরক্ষা কিট’ পেয়েছেন তিনি, তাতেই ছিল ওই পোর্টেবল পাখা। তীব্র গরমে ডিউটি করার সময়ে চিড়িয়াখানার কর্মীরা যাতে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য পান, তার জন্যই এমন উদ্যোগ ওই বেসরকারি ক্লিনিকের।শীত হোক বা গ্রীষ্ম, আলিপুর চিড়িয়াখানায় বেড়াতে এসে একবারও বাঘের এলাকায় মাথা গলান না এমন দর্শক পাওয়া ভার। শুধু বাঘের খাঁচা কেন, শিম্পাঞ্জি, জাগুয়ার, লেপার্ড — ওদের আকর্ষণ এতটাই যে যেদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে সবাই চোখে সর্ষেফুল দেখছিলেন, সেদিনও আলিপুর চিড়িয়াখানায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি টিকিট বিক্রি হয়েছিল। সুতরাং নিয়মিতই ভোর ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে ‘অন ফিল্ড’ ডিউটি দিতে হয় চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর থেকে অ্যানিম্যাল-কিপার প্রত্যেককে। ওঁদের কষ্টের কিছুটা লাঘব করতে মঙ্গলবার বিশেষ উদ্যোগে সামিল হয় সুরক্ষা ডায়াগনস্টিকস।
এদিন দুপুরে আলিপুর চিড়িয়াখানার প্রতি কর্মীর হাতে যে সেফটি কিট তুলে দেওয়া হয় তাতে ছিল টুপি, ব্যাটারি চার্জড পোর্টেবল পাখা এবং জলের বোতল। সুরক্ষার চেয়ারম্যান সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পরিবেশ এবং পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, চিড়িয়াখানার কর্মীরা সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই কাজ করেন। আমাদের উদ্দেশ্য ওঁদের ভালো রাখা। এই কারণেই মঙ্গলবার ৪২৫ জন কর্মীকে সেফটি কিট দেওয়া হয়। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী দিনে চিড়িয়াখানার সঙ্গে একযোগে এমন জনকল্যাণকর আরও কিছু প্রকল্প চালু করার।’
আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, ‘চিড়িয়াখানার কর্মীদের মধ্যে অ্যানিম্যাল অ্যাটেন্ড্যান্ট, অ্যানিম্যাল কিপার, নিরাপত্তারক্ষী, বাগানের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা, পাম্প অপারেটর, টিকিট ক্লার্ক এবং চিড়িয়াখানার হাসপাতালের চিকিৎসকদের কেউই ঘরে বসে কাজ করেন না। এ বছর এখনও পর্যন্ত চিড়িয়াখানার দর্শক সংখ্যা ৩৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এপ্রিলের সে সময়টা কলকাতার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রির ওপরে ছিল, সেই সময়েও চিড়িয়াখানায় দিনে গড়ে আড়াই হাজার করে দর্শক এসেছেন। এটা প্রতিটা কর্মীর মিলিত সাফল্য।’