অঙ্কে ২০০-র মধ্যে ২১২! ছেলের মার্কশিট দেখে চক্ষু চড়কগাছ মা-বাবার
এই সময় | ০৮ মে ২০২৪
বর্তমান ইঁদুর দৌড়ের যুগে কাঁড়ি কাঁড়ি নম্বর পাওয়াই ট্রেন্ড। অঙ্ক, ইংরেজি, ভৌতবিজ্ঞানে ১০০-তে ১০০ না আনতে পারলে যেন টিকে থাকাই দায়। পড়ুয়াদের কাঁধে প্রত্যাশার বোঝা ক্রমশই ভারী হয় ক্লাস বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে। এবার দেখা গেল অঙ্কে ২০০-তে ২১২ পেল এক পড়ুয়া। অবাক হচ্ছেন? বাস্তবেই ঘটেছে এমন ঘটনা। নেটপাড়ায় ভাইরাল সে মার্কশিটও।নম্বর বসানোর ভুলে হোক বা গাফিলতি, ছেলের মার্কশিট দেখে চোখ কপালে উঠেছিল মা-বাবার। অঙ্কে ২০০ নম্বরের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া পেল ২১২। ইতিমধ্যেই সেই মার্কশিট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কী ভাবে বাস্তবায়িত হল এমনটা?
ঘটনাটি গুজরাটের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ক্লাস ফোরের এক পড়ুয়াকে অঙ্কে ২১২ নম্বর দেওয়া হয়েছে। অথচ পরীক্ষা হয়েছিল ২০০ নম্বরে। ছাত্রের মার্কশিট নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, গুজরাটের ঝালড় খরসানা গ্রামের একটি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র বংশীবেন মণীশভাই গুজরাটি ভাষার পরীক্ষা দিয়েছিল ২০০ নম্বরে। সেই ভাষায় তাকে দেওয়া হয়েছে ২১১। অঙ্কের ২০০ নম্বরের মধ্যে দেওয়া হয়েছে ২১২ নম্বর। স্কুল থেকে মার্কশিট হাতে ছেলে বাড়ি ফিরতেই মা-বাবা হতবাক। চোখে পড়ার মতো এই ভুল নিয়ে হাসাহাসি হচ্ছে নেটপাড়ায়। গুজরাটি, হিন্দি, অঙ্ক, পরিবেশবিদ্যা, ইংরেজি সমস্ত বিষয়েই খুব ভালো ফলাফলের আশা করেছিল ওই শিক্ষার্থী। কিন্তু, তাঁকে মোটা নম্বর ছাপিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি মার্কস।
গুজরাটি স্কুলের এই পড়ুয়ার অভিভাবকদের নজরে আসায় শেষ পর্যন্ত বদল করা হয় মার্কশিটের নম্বর। সংশোধন করা হয় বাড়তি নম্বরগুলি। এরপর চতুর্থ শ্রেণির বংশীবেন মণীশভাই সব সাবজেক্ট মিলিয়ে সংশোধিত ফল পেল ১০০০-এর মধ্যে ৯৩৪। এর আগে বাড়তি নম্বর নিয়ে তাঁর রেজাল্ট দাঁড়িয়েছিল ৯৫৬।
এর আগে ২০২৩ সালে মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্ক পরীক্ষার ফলাফলেও এমনটা ঘটেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আয়েশা আনসারি ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পেয়েছিল ১১৫, আম্মারা আনসারি ১০৫, আশফা খান ১০১, মারিয়া মোমিন ১০৯, রিফা মোমিন ১১১ এবং আসিয়া সাইক ১০৬ নম্বর। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, সফটওয়্যারে ত্রুটির কারণে এ ঘটনা ঘটে। পরে সকলের রেজাল্ট সংশোধন করা হয়। তবে গুজরাটের ওই স্কুলে কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা এখনও পর্যন্ত জানায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ।