• North Sikkim : নাগাড়ে বৃষ্টিতে গ্যাংটক থেকে উত্তর সিকিম যাওয়ার রাস্তায় বিপত্তি, দুর্ভোগে অসংখ্য পর্যটক
    এই সময় | ০৯ মে ২০২৪
  • সব মরশুমেই পর্যটকদের কাছে প্রিয় ডেস্টিনেশন সিকিম। গুরুদংমার থেকে ইয়ুমথাং, নাথু লা থেকে জিরো পয়েন্ট, সিকিমের এই ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে সারাবছরই ঠাসা থাকে পর্যটক। জ্বালাপোড়া এই গরম থেকে দু'দণ্ড রেহাই পেতে এই সময় সিকিমে পাড়ি দিয়েছেন বহু মানুষ। তুষারপাতে মোড়া জিরো পয়েন্টে চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন তারা। কিন্তু, এর সঙ্গেই শুরু হয়েছে নাগাড়ে বৃষ্টি। যার জেরে রাতারাতি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে।জানা যাচ্ছে, উত্তর সিকিমের সঙ্গে গ্যাংটকের সংযোগকারী রাস্তার দশা বৃষ্টিতে বেহাল। এই রাস্তা কতদিন অক্ষত থাকবে তা নিয়ে ঘোরতর আশঙ্কায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টি, ধস এবং একের পর এক দুর্যোগে এই রাস্তা বারবার বিপর্যস্ত হয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নতুন করে রাস্তা তৈরি না হলে এর প্রভাব পড়বে পর্যটনে।

    এদিকে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের রবিঝোরা থেকে ২৯ মাইল পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে গত ৬ মে থেকে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই রাস্তা বন্ধ থাকবে। ফলে ওই সময়ের আগে কালিম্পংয়ের পাশাপাশি সিকিমে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভরসা সেবক-গরুবাথান-আলগাড়ার রাস্তা। টানা বৃষ্টিতে গ্যাংটকের সঙ্গে উত্তর সিকিমের রাস্তা বেহাল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। সিকিম পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, ৯০ শতাংশ হোটেল বুক রয়েছে এই মুহূর্তে। আগামী কয়েকদিন গরমের ছুটিতে আরও পর্যটকের আনাগোনার সম্ভাবনা। পূর্ব এবং উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য গ্যাংটকে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন গাদা গাদা পর্যটক। কিন্তু, রাস্তার পরিস্থিতি দেখে অনেকেই উত্তর সিকিমের পথ এড়িয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

    গ্যাংটক থেকে রাকডুং-তিবটেক হয়ে মঙ্গন যাওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ছোট গাড়িকে। আবার টুংনাগা হয়ে মঙ্গন ও চুংথাংয়ের রাস্তাও বন্ধ। লাচেন থেকে চুংথাংয়ের রাস্তা খোলা থাকছে সকাল ৭টা থেকে ৮টা এবং বিকেল ৪টে থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। পর্যটকদের গাড়ি নিয়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ রয়েছে উত্তর সিকিমের একাধিক রাস্তায়। বৃষ্টির মধ্যে ঝুঁকি এড়াতে একাধিক রাস্তায় গাড়ি যাতায়াত বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। যার জন্য মাঝ রাস্তায় অনেককে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রাস্তা খারাপের জন্য অনেকেই লাচেনে আসতে চাইছেন না বলে মন্তব্য করেছেন হোটেল মালিকরা।

    এদিকে, সাউথ লোনাক লেক বিপর্যয়ের পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও রাস্তাগুলি কেন চলাচলের যোগ্য করে তোলা যাচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সিকিমে বেড়াতে আসার পথে অনেকেই বেহাল সড়কে দুর্ভোগে পড়ছেন। অবিলম্বে রাস্তার হাল না ফিরলে তার প্রভাব পড়বে পর্যটনে।
  • Link to this news (এই সময়)