হুগলির বলাগড়ের বাকুলিয়ায় বুধবার জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকেটকে তোপ দাগেন। পাশাপাশি কেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুগলির প্রার্থী করেছেন, তা স্পষ্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বলেন, 'আমি রচনাকে এখানে প্রার্থী করেছি। কারণ এখানে যিনি BJP-র প্রার্থী আছেন পাঁচ বছর ধরে প্রার্থী ছিলেন এবং অনেকেরই গলার লকেট। আমি খারাপ সেন্সে বলছি না। ভালো সেন্সে বলছি এবং তাঁকে যদি সরাতে হয় তাহলে রবীন্দ্রনাথের ভাষা বলতে হবে অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো সেই তো তোমার আলো!সকল দ্বন্দ্ববিরোধ-মাঝে জাগ্রত যে ভালো, রচনা আপনাদের ভালো।’
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে কার্যত সকলকে চমকে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভা করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই হুগলির প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় দিদি নং ১ খ্যাত বিখ্যাত টলি তারকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এই নিয়ে রাজনৈতিক মহল তো বটেই, শোরগোল পড়ে গিয়েছিল টলিপাড়াতেও। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছিল গেরুয়া শিবির।
তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন দু'বারের জয়ী সাংসদ রত্না দে নাগ। সেই বার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিকে ৭৩ হাজার ৩৬২ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন লকেট। ২০১৫ সালের পর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন এই অভিনেত্রী। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে চুঁচুড়া কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছিল BJP, কিন্তু তিনি পরাজিত হন।
লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিনের সহকর্মী। একাধিক ছবিতে তাঁরা কাজ করেছেন। যদিও রচনাকে প্রার্থী করার পর একবারও সরাসরি তাঁকে আক্রমণ করেননি লকেট। বারবার এড়িয়ে গিয়ে মোদী বনাম মমতার লড়াইয়ে জোর দিয়েছেন। অন্যদিকে, রচনা অবশ্য খুল্লামখুল্লা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।
এদিকে লকেটকে প্রার্থী করা নিয়ে একাধিক চর্চা চলেছিল দলের অন্দরেই। BJP-র অন্য দুই নেতার নামে পোস্টারও পড়েছিল। যদিও এই প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের দাবি ছিল, তৃণমূলই এই পোস্টার ফেলেছে। বিধানসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে BJP-র ফলাফল মোটেও ভালো ছিল না। ফলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলের দিকে সব নজর। লকেট বনাম রচনা, কে বাজিমাত করবে? সব নজর সেই দিকেই।