জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশরক্ষায় বাবা শহিদ হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পিতৃহারা সেই মেয়েকে বিয়ের মতো বিশেষ দিনে একা ছাড়লেন না ওনারা। বিয়ের মণ্ডপ পর্যন্ত এগিয়ে দিল এক নয়, অনেক 'বাবা'। দেশরক্ষার ব্রতে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন বাবা। আর সেই শহিদ জওয়ানের মেয়েকে তাঁর বিয়ের মণ্ডপ পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন অন্যান্য জওয়ানরা। শুধু তাই নয়, করলেন কন্যাদানও। পিতৃহারা মেয়েকে বিশেষ দিনে একা ছাড়লেন না। ঘিরে রাখলেন একজন বাবার মতো-ই। বুঝতে দিলেন না অভাব। উর্দিধারী সিআরপিএফ জওয়ানরা মাথায় চাঁদোয়া ধরে তাঁদের সবার 'মেয়ে' সারিকাকে এগিয়ে দিলেন বিয়ের মণ্ডপ পর্যন্ত।এই ছবি সামনে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছে এই ছবি। এই ছবি দেখে চোখ ভিজেছে অনেকরই। সিআরপিএফ জওয়ানদের মানবিকতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই। মন ছুঁয়ে যাওয়া এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানে। রাজস্থানের আলোয়ার জেলার ডুবি গ্রামের বাসিন্দা সারিকা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লাল-হলুদ লেহেঙ্গায় গয়নায় বিয়ের সাজে সারিকা। আর তাঁর মাথার উপর 'ফুলো কি চাদর' ধরে রয়েছেন উর্দিধানী আধাসেনা জওয়ানরা। শহিদ সিআরপিএফ কনস্টেবল রাকেশ কুমার মীনার মেয়ে সারিকা মীনা। আজ থেকে ১৪ বছর আগে মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে বাবাকে হারান সারিকা। ২০১০ সালের ৮ মে ছত্তীসগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে শহিদ হন সিআরপিএফ-এর ১৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সদস্য রাকেশ কুমার। তখন অনেক ছোট সারিকা। সেদিনের সেই ছোট্ট মেয়ে আজ বিবাহের পিঁড়িতে। আলোয়ারে গ্রামের বাড়িতেই বসেছিল বিয়ের আসর। বিয়ের আসরে একদিকে সারিকা যখন তাঁর বাবা রাকেশ কুমার মীনার উপস্থিতির অভাব বোধ করছে, ঠিক তখনই কাঁধে কাঁধ বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। তাঁদের 'মেয়ে' সারিকাকে পৌঁছে দেন বিয়ের মণ্ডপে। শুধু তাই নয়, সারিকার কন্যাদানও করেন আধাসেনা জওয়ানরা-ই।এর আগে ২০২১-এর ডিসেম্বরেও সামনে এসেছিল এরকমই একটি ঘটনা। যেখানে শহিদ শৈলেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের মেয়ের বিয়েতে এগিয়ে এসেছিলেন আধাসেনা জওয়ানরা। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে শহিদ হন শৈলেন্দ্র প্রতাপ সিং।