জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কনডোমের নেশায় মজেছে দুর্গাপুরের একাংশ যুব সম্প্রদায়। জানা গিয়েছে, সেখানকার যুবকরা ফ্লেভারড কনডোমের প্রতি আসক্ত। জানা গিয়েছে, যুবকরা বিপুল পরিমাণে ফ্লেভারড কনডোম কেনা শুরু করেছে। তা থেকে অ্যালকোহল তৈরি করছে।ফ্লেভারড কনডোমগুলি তারা ১ ঘণ্টা গরম জলে ভিজিয়ে রাখে। তারপর সেই জল খেয়ে ফেলে। যুব সম্প্রদায়ের দাবি, এটি তাদেরকে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার জন্য নেশায় ডুবে থাকতে সাহায্য করে। পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে যুবকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা নেশার নতুন রূপ প্রকাশ করলেন এক ছাত্র। অনেক ছাত্র দুর্গাপুরের হোস্টেলে থাকে এবং মদ, সিগারেট ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ধরনের আসক্তিতে অভ্যস্ত। তাদের দাবি, এই পণ্যগুলি কনডোমের তুলনায় দাম বেশি।
কনডোম মেডিক্যাল স্টোরগুলিতে অতি সহজেই পাওয়া যায়। এটিকে বহন করাও সহজ। এমনকি কোনও অসুধের দোকান থেকে কনডোম কিনতে তাদের কোনও চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হয় না। যার কারণে পড়ুয়ারা আরও বেশি এই নেশায় লিপ্ত হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর সিটি সেন্টার, বিধাননগর, বেনাচিটি এবং দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার মত এলাকায় কনডোমের বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়েছে।এলাকায় কনডোমের বিক্রি ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার পর একজন দোকানদার একজন ছাত্রকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। ওই ছাত্র তখন প্রকাশ করে যে সে উচ্চতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত ফ্লেভারযুক্ত কনডোম কিনছে। আরও জানা গিয়েছে, একজন দোকানদার দাবি করেছেন যে এই এলাকায় কনডোমের বিক্রি দিনে ৩ থেকে ৪ প্যাকেট করে বেড়েছে। এই অবস্থায় আশেপাশের দোকানগুলিতে কনডোম পাওয়া যাচ্ছে না।এক দোকানদার দাবি করেছেন যে ফ্লেভারড কনডোমে বিষাক্ত যৌগ থাকতে পারে যার থেকে ক্যানসার হতে পারে। তিনি এবিষয়ে যুবকদের সতর্কও করেছেন তিনি। এই মুহূর্তে এটি আনন্দদায়ক হলেও ভবিষ্যতে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।