• স্বপ্ন' সেই প্রাথমিক থেকেই 'ফার্স্ট গার্ল' আফরিন উচ্চ মাধ্যমিকে 6th...
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ মে ২০২৪
  • পার্থ চৌধুরী: উচ্চ মাধ্যমিকে এবারেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখল মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির শাখা ১। রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম মেমারির আফরিন মণ্ডল। বিজ্ঞান বিভাগের এই ছাত্রীর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। আগামী দিনে চিকিৎসক হওয়া স্বপ্ন আফরিনের।

    মেমারির শোভনা গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্রী আফরিন ছোট থেকেই মেধাবী। প্রাথমিক স্তর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে প্রথম স্থান অর্জন করতে থাকে। আফরিন জানায়, দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করত সে। বাবা আজিম মণ্ডল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ান। মা মেমারি পোস্ট অফিসের এজেন্ট।উচ্চ মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। সে পেয়েছে ৯৮.০২ শতাংশ। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আফরিন মণ্ডল জানায়, সে মধ্যবিত্ত পরিবারের গ্রামের মেয়ে। মানুষের প্রতিবন্ধকতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছে সে। সে দেখেছে অনেকেই চিকিৎসার অভাবে মারা যান। তাই আগামী দিনে চিকিৎসক হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়। তা ছা়ড়া মানুষের মধ্যে চিকিৎসকদের সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েছে। আমি চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেই  ধারণা পাল্টে দিতে চাই। এর সঙ্গে আফরিন যোগ করেন, 'আমার এই সাফল্যের পিছনে বাবা-মায়ের অবদান রয়েছে, সেই সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গৃহশিক্ষকদের অবদান কখনোই অস্বীকার করা যাবে না।'বাবা দরিদ্র খেতমজুর। মা-ও খেতমজুর। প্রতিদিন কাজ মেলে না তাঁদের। কাজ না মিললে অভাবের সংসারে দেখা দেয় খাদ্যাভাব। কিন্তু এমন পরিবারের মেয়ের নামই এবার উঠে এল রাজ্যের মেধা তালিকায়। সাঁওতালি মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিকে সকলকে চমকে এবার একেবারে প্রথমে উঠে এসেছে  জ্যোৎস্না কিস্কুর নাম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৬। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের কাঠগোড়া গ্রামের বাসিন্দা জ্যোৎস্না কিস্কু ছোট থেকেই বেশ মেধাবী। অভাবের সংসারে মেয়ের লেখাপড়া বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না বুঝতে পেরে জ্যোৎস্নাকে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করে দেন রাইপুরের পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুলে। সেখানে থেকেই পড়াশোনা করে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে সাঁওতালি মাধ্যমে রাজ্যের মেধা তালিকায় প্রথম স্থানে উঠে আসে জ্যোৎস্না। এদিন উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর জ্যোৎস্নার এই সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই গর্বিত তাঁর বাবা-মা, তাঁর প্রতিবেশীরাও। জ্যোৎস্নার প্রিয় বিষয় সাঁওতালি। সাঁওতালি নিয়ে পড়াশোনা করে আগামীদিনে স্কুল শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন জ্যোৎস্না।মাধ্যমিকের পরে আজ প্রকাশ পেল উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। আজ দুপুর ১টায় ওয়েস্ট বেঙ্গল কাউন্সিল অফ হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রকাশ করল চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। পরীক্ষার্থীরা ফল দেখতে পারলেন অবশ্য বিকেল তিনটেয়। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ও অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে এই ফল জানা যাবে। মার্কশিট দেওয়া হবে ১০ মে থেকে। মার্কশিট হাতে পাওয়ার পর স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। এবার নতুন নিয়ম চালু করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ-- ৭ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে রিভিউ ও স্ক্রুটিনির রেজাল্ট।১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা চলে। এবার ৬৯ দিনের মাথায় প্রকাশ পেল ফল। ৭৬৪৪৪৮ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। যার মধ্যে পরীক্ষায় বসেছিলেন ৭৫৫৩২৪ জন ছাত্র। মোট ৬৭৯৭৮৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯০ শতাংশ। মোট ৬০ বিষয়ের উপরে পরীক্ষা হয়েছিল, ৬ ভাষায় উত্তর করার সুযোগ ছিল। ১৩০ জন পরীক্ষার্থী কিছু সমস্যার কারণে হাসপাতাল বা বাড়ি থেকে পরীক্ষায় বসেছিলেন। ৯১৮৩৮ জন ছাত্রী পরীক্ষায় বসেছিলেন, যা পুরুষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যার থেকে অনেক বেশি। এ বছর প্রথম দশে মোট ৫৮ জন পরীক্ষার্থী।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)