সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োটি শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে সেনাকর্মীরা বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষকে চাপ দিচ্ছেন। ভিডিয়ো নজরে আসার পরেই সেটির ফ্যাক্ট চেক করে সংবাদমাধ্যম ফ্যাক্টলি। আর তাতেই উঠে আসে আসল তথ্য।
কী ভাবে জানা গেল আসল তথ্য?ভাইরাল ভিডিয়োর কি ফ্রেম ব্যবহার করে ও সেটি দিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে সংবাদমাধ্যম ফ্যাক্টলি জানতে পারে যে সেটি ২০১৯ সালে ছড়িয়েছে। ভিডিয়োতে থাকা বুথ নম্বর (১৪৬) ও লোকেশন দেখে জানা যায় যে সেটি আসলে রাজীব গান্ধী নগরের ক্যান্টমেন্ট বিধানসভা ৬। জানা যায় ওই বুথটি মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে অবস্থিত।সেই সূত্রের উপর ভিত্তি করে আরও কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, ভাইরাল ভিডিয়োয় উল্লিখিত একই বিবরণ সহ এক সংবাদ সংস্থার ২০১৯ সালে একটি প্রতিবেদন দেখতে পায় ফ্যাক্টলি। সেই প্রতিবেদন অনুসারে, 'মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে সেনা আধিকারিকরা একটি ঘটনার কথা জানিয়েছেন যে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল নির্বাচনের ভোটের দিন, গ্রেনেডিয়ার রেজিমেন্টাল সেন্টারের সেনা এবং তাঁদের স্ত্রীয়েরা একটি গাড়ি ব্যবহার করে ১৪৬ নম্বর স্বামী বিবেকানন্দ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাটাঙ্গা জবলপুরে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা ভোটারদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং ২৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য ভিডিয়ো শেয়ার করেছিল।'
আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫০-এর অধীনে আর্মি রুলস ১৯৫৪-এর ধারা ২০(১) অনুসারে, 'অ্যাক্টের অধীন কোনও ব্যক্তি কোনও দল বা কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আয়োজিত কোনও মিটিং বা বিক্ষোভে যোগ দিতে, সম্বোধন করতে বা অংশ নিতে পারবেন না। অথবা কোনও রাজনৈতিক সংগঠন বা আন্দোলনের সাহায্যে করতে পারবেন না।' সেনাবাহিনীর রুলসের ২০(২) ধারা অনুযায়ী, 'এই আইনের অধীন কোনও ব্যক্তি ভোটারদের কাছে ঠিকানা জারি করবেন না বা অন্য কোনও ভাবে নিজেকে প্রকাশ্যে ঘোষণা করবেন না বা নিজেকে প্রার্থী হিসেবে বা নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে পারবেন না। সংসদে, কোনও রাজ্যের আইনসভা, কোনও পাবলিক সংস্থা বা কোনও প্রার্থীর নির্বাচনী কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করতে বা সক্রিয়ভাবে কোনও প্রার্থীর স্বার্থের প্রচার বা বিচার করতে পারবেন না।'
ফ্যাক্ট চেকে জানা গেল আসল সত্য
সুতরাং পুরানো এই ভিডিয়োতে মিথ্যাভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রক্সি ভোট পাওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
(This story was originally published by FAQTLY and translated and edited by Ei Samay Digital as part of the Shakti Collective)