• 'রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিন', আদালতে হালকা চালে মন্তব্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির
    এই সময় | ০৯ মে ২০২৪
  • 'সব থেকে ভালো রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিন', বৃহস্পতিবার হালকা চালে এমনই মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞানম। অনুমতি ছাড়া মিটিং করা যাবে না, কনভোকেশন করা যাবে না, কোনও উপাচার্য বিদেশে বা কোথাও ঘুরতে যেতে পারবেন না, এই মর্মে গত ১/৪/২৩ তারিখে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। সেই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টে মামালা দায়ের হয়। মামলাকারীর নাম কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়।প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, 'রাজ্য স্টেট এডেড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে। সেগুলি মোটেও কোনও রুল নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি এই নির্দেশিকায় অসুবিধা হয় তাহলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হোক।' এদিন মামলাকারীর আবেদনও খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    প্রসঙ্গত, অতীতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন সময় রাজ্য - রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি জারি হতে দেখা গিয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে রাজভবনের তরফে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, উপাচার্য, সহউপাচার্য ও রেজিস্ট্রার হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর নির্দেশেই কাজ করবেন সহউপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং অন্যান্য কর্তারা। তাঁরা সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য নন। তবে উপাচার্য সরকারি নির্দেশে মান্যতা দিলে সেটা কার্যকর করতে হবে। আচার্যকে সহযোগিতা করবেন উপাচার্য, সহউপাচার্য, রেজিস্ট্রাররা।

    এক্ষেত্রে উল্লেখ্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টেও মামলাও দায়ের হয়। সেই সময় রাজ্যের বক্তব্য ছিল, উপাচার্য নিয়োগ করতে গেলে আগে আলোচনা করতে হয় রাজ্য সরকারের সঙ্গে। কিন্তু রাজ্যের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই উপাচার্য নিয়োগ করেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। আর আচার্যের সেই পদক্ষেপ বৈধ নয় বলেই দাবি করে রাজ্য সরকারের।

    আর এবার রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক ব্যক্তি। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে।
  • Link to this news (এই সময়)