সকালেই নামল আঁধার, শিলাবৃষ্টি শুরু কলকাতায়, বিকেলে ৪ জেলায় তাণ্ডব চালাবে কালবৈশাখী!
এই সময় | ০৯ মে ২০২৪
পূর্বাভাস ছিলই, বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বৃহস্পতিবার চার জেলায় বৃষ্টি নামতে চলেছে। বাঁকুড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা-এই চার জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। বাঁকুড়া আর বিষ্ণুপুরের মাঝে এবং উত্তর ২৪ পরগনায় হাবড়া সংলগ্ন এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিহার নেপাল অঞ্চলে অবস্থান করছে একটি মেঘপুঞ্জ। আর তা নামলে দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।এই বছর কলাইকুণ্ডার তাপমাত্রা রীতমতো ভয় ধরিয়েছিল। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যদিও আবহাওয়ার রুদ্রমূর্তিতে পড়েছে প্রলেপ। তাপমাত্রার বজ্র আঁটুনি থেকে মুক্তি পেয়েছে সমস্ত জেলাগুলি। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার ঝড়-বৃষ্টির অপেক্ষাকৃত বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে কালবৈশাখী হতে পারে। ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বওয়ার সম্ভাবনা। রবিবারের পর ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কমতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রকৃতির উপর ইমারতের খাড়া নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিনের। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনার জন্য একাধিক ফোরাম তৈরি হয়েছে। কিন্তু, কাজের কাজ কি সত্যিই কিছু হচ্ছে? কলকাতার জলস্তর নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় ভূগর্ভ জল পর্ষদ পঞ্চবাষিকী রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ২০১৭-২৩ সালের মধ্যে তিলোত্তমার ভূগর্ভস্থ জলের স্তর দুই মিটারের বেশি নেমেছে। শুধু তাই নয়, এই রিপোর্টে উঠে এসেছে, জলভাণ্ডার কমেছে কমপক্ষে ১৮ শতাংশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিসংখ্যানটা চিন্তায় ফেলার মতো। সেখানে জলের স্তর আড়াই মিটার নেমেছে। শুধু তাই নয়, ২৭ শতাংশ জল ক্ষয় হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, 'পরিস্থিতি এইভাবে চলতে থাকলে একদিকে যেমন জলের সংকট বাড়বে, তেমনই আর্সেনিক জনিত সমস্যাও প্রকট হবে।'
এর জন্য সাধারণ মানুষের অসচেতনাকেও দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। কলকাতা পুরসভার পরিসংখ্যান মোতাবেক, দিনে প্রায় ১৫৪ কোটি লিটার জল পরিশোধন করা হয় এবং তা সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ জল অপচয় হয়ে যায়। দৈনিক কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষ একজন পিছু ১৫০ লিটার জল দিলেও সেই হিসাব মোতাবেক দৈনিক ২৪ লাখ লোকের ব্যবহারযোগ্য জল নর্দমা থেকে চলে যায়।
তার উপর যদি বৃষ্টিপাত কম হয়, সেক্ষেত্রে সংকট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তবে বর্ষা বা বৃষ্টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আপডেট সামনে আসেনি।