এই সময়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে আপাতত স্বস্তি পেলেন না ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। সুপ্রিম কোর্টে বুধবার কিছুক্ষণ মামলার শুনানি চললেও বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রর বেঞ্চ আজ, বৃহস্পতিবার ফের মামলা শুনবেন বলে জানিয়েছেন।২০২০ সালে রাজ্যে সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষকের শূন্যপদের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছিল। খালি পড়েছিল ৩,৯২৯ পদ। কেন এই পদগুলিতে নিয়োগ করা হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে ও দ্রুত নিয়োগের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ২০১৪ সালে টেট-উত্তীর্ণ কয়েকজন প্রার্থী। তাঁদের আবেদনে সাড়া দিয়ে গত বছর পুজোর আগে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীদের দ্রুত ওই শূন্য পদে নিয়োগ করতে হবে।
এমনকী ২৫২ জনকে সরাসরি নিয়োগেরও আদেশ দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হয় মামলা। বলা হয়, সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের বাইরেও যাঁরা যোগ্য রয়েছেন, অর্থাৎ ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁদের মধ্যে থেকেও যেন নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে করতে হবে নিয়োগ।
ফলে ১১,৭৬৫টি শূন্যপদের মধ্যে প্রায় চার হাজার নিয়োগ ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের জন্য সংরক্ষিত রেখে বাকি ৭,৭৩৮ পদে অন্য বছরে টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপরেই মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। এখন সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেদিকেই নজর চাকরি প্রার্থীদের।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও বেনিয়ম হয়নি। কিন্তু কেন সাড়ে ১৬ হাজার পদের পুরোটাই নিয়োগ হয়নি—সর্বোচ্চ আদালতের এই প্রশ্নে পর্ষদের তরফে জানানো হয়, সে সময়ে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি বলেই সব পদ পূরণ হয়নি। প্রথমে ১৫,২৮৪ জনকে নিয়োগ করা হয়। পরে আরও দু দফায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যথাক্রমে ৪৭৮ ও ৭৩৪ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে।