• মোদী এবং আম্বানি-আদানির অবদানেই ভারত সুপারপাওয়ার! রাজনৈতিক তরজার আবহে প্রকাশ্যে বিশেষ রিপোর্ট
    এই সময় | ০৯ মে ২০২৪
  • আম্বানি-আদানি নিয়ে অধিকাংশ সময়ই রাহুল গান্ধীর নিশানায় থাকেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনের আবহে আচমকাই বদলে গেল তা। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আম্বানি-আদানি নিয়ে সোজাসুজি আক্রমণ শানিয়ে বসলেন কংগ্রেসের সাংসদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে যখন তরজা তুঙ্গে ঠিক তখনই প্রকাশ্যে এল একটি রিপোর্ট। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মোদী, আম্বানি এবং আদানি একযোগে ভারতকে অর্থনৈতিক সুপারপাওয়ারে পরিণত করে তুলছে।আম্বানি-আদানির বিশেষ অবদানCNN-এর একটি রিপোর্ট বলছে, খুব শীঘ্রই এবং চলতি ২১ শতকেই ভারত অর্থনৈতিক সুপারপাওয়ারে পরিণত হবে। বিনিয়োগকারীদের জন্য ভারতই হয়ে উঠবে চিনের বিকল্প। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, গৌতম আদামি এবং মুকেশ আম্বানির বিশেষ ভূমিকা। দেশ যত ডিজিটাল বিপ্লবের দিকে এগোচ্ছে ততই আম্বানি এবং আদানি কি ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে শুরু করে ক্লিন এনার্জি কিংবা সংবাদমাধ্য থেকে টেকনোলজি, সর্বক্ষেত্রেই ব্যবসা রয়েছে আম্বানি এবং আদানি গ্রুপের। এই দুই ধনকুবেরদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন করে। রিপোর্ট বলছে আম্বানি, আদানি এবং নরেন্দ্র মোদী দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ভারতকে ইকনমিক সুপারপাওয়ার হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই ত্রিমূর্তির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

    বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে এই দুই শিল্পপতি, আম্বানি এবং আদানি যে পরিমাণ প্রভাব এবং ক্ষমতা উপভোগ করেন, তা সচরাচর দেখা যায় না। ১৯ শতরের শেষদিকে ৩০ বছর আমেরিকার প্রথম বিলিয়নিয়ার সাংবাদিক হয়ে উঠেছিলেন জন ডি রকফেলার। তিনি বলেন, 'ভারত এমন একটি পরিস্থিতিতে রয়েছে যা আমেরিকা সহ অন্য দেশগুলির আগেই প্রাপ্তি হয়েছে। ১৮২০ সালে ব্রিটেন, ১৯৬০-৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়া এবং ২০০০ সালে চিন।' সুইৎজারল্যান্ডের সেন্ট গ্যালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোইকনমিক্সের গুদিও কোজ্জি বলেন, 'এই দুই ধনকুবের ভারতের জন্য অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এদের যোগাযোগও অত্যন্ত শক্তিশালী। এই দুই সংস্থাই অত্যন্ত ডায়নামিক। পরিকাঠামোর তৈরির ক্ষেত্রে এই দুই সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বুস্ট করা, ডিজিটাল উদ্বাভন এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে এদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি।'

    মোদী-রাহুল তরজানরেন্দ্র মোদী একটি নির্বাচনী সভা থেকে বলেন, 'কংগ্রেসের শাহজাদা ঘোষণা করুন আম্বানি-আদানির থেকে কত মাল তুলেছেন? টেম্পো ভর্তি করে টাকার নোট পৌঁছেছে? কী সওদা হয়েছে যে আম্বানি-আদানিদের গালি দেওয়া বন্ধ করে দিলেন?' পালটা রাহুল গান্ধী বলেন, 'মোদীজি, আপনি কি একটু ঘাবড়ে গিয়েছেন? এই প্রথম প্রকাশ্যে আম্বানি-আদানির নাম বললেন! এটা আপনিও জানেন যে ওঁরা টেম্পো ভর্তি করে টাকা দেন? তা হলে এবার CBI-ED পাঠান।'
  • Link to this news (এই সময়)