'ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা, ওইরকম কিছু ঘটেইনি', সরব সন্দেশখালির মহিলারা
এই সময় | ০৯ মে ২০২৪
সম্প্রতি সন্দেশখালি সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। এরই মাঝে এবার সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশের তরফেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হল ধর্ষণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেন তাঁরা।মিতা মাইতি নামে এক মহিলা দাবি করেন, ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্য। তিনি বলেন, 'রেখা শর্মা যেদিন এসেছিলেন, সেদিন কার কার অভিযোগ আছে জানতে চাওয়া হল। একটা সাদা কাগজ দিল, বলল সই করতে হবে। সই করে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। ৪-৫ দিন পর থানা থেকে একটি নোটিশ যায়। তখন জানতে পারি যে আমরা ধর্ষণের কেস করেছি। সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যে, ওইরকম কিছু ঘটেইনি।' ঘটনায় মাম্পি দাস ও পিয়ালী দাস নামে দুই মহিলার নামও উঠে এসেছে। মিতার দাবি, পিয়ালী এক সময় আন্দেলন করত, এখন বিজেপি করে। মিথ্যা বলে ফাঁসানোর জন্য পিয়ালীর শাস্তিও দাবি করছেন মিতা। এমনকী এখন তাঁরা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চাইলে পালটা হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন মিতা মাইতি। নিয়তি মাইতি নামে এক মহিলার মুখেও শোনা গেল একই ধরনের কথা।
এদিকে এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই সরব হয়েছে তৃণমূল। এই বিষয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মধ্যক্ষ দিলীপ রক্ষিত বলেন, 'আমরা আগেও বলেছিলাম, ছোট একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেটি হল, জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া এবং লিজের টাকা না দেওয়া। এটাকে নিয়ে যখন আন্দোলন চলছিল তখনই বিজেপি ষড়যন্ত্র করে।'
প্রসঙ্গতি, সম্প্রতি সন্দেশখালির একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ৩২ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োর সত্যতা অবশ্য যাচাই করে দেখেনি এই সময় ডিজিটাল। সেই ভিডিয়োতে স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, সন্দেশখালিতে টাকার বিনিময়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের 'মিথ্যে' অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছিল। এমনকী বসিরহাট আসনে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রও ২ হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের 'মিথ্যে' অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে দাবি গঙ্গাধরের। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয় তৃণমূল।
যদিও বিজেপি অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ ইতিমধ্যেই অস্বীকার করেছে। পালটা বিজেপির তরফে ওই ভিডিয়োকে সাজানো ও বিকৃত বলেছে। এমনকী গঙ্গাধরও কণ্ঠস্বর বিকৃতির অভিযোগ তুলেছেন। তা নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই এবার মুখ এক মহিলা। দাবি করলেন, ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা।