• কলকাতা থেকে প্রথম ১০-এ ৫, নরেন্দ্রপুরের ৬
    আজকাল | ০৯ মে ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফলাফল প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের। সকালেই জানা গিয়েছে পাশের হার ৯০ শতাংশ। জানা গিয়েছে কৃতীদের নাম। নজর থাকে এই একঝাঁক পড়ুয়ার দিকে। স্কুলের গন্ডী শেষ করে এবার তাঁরা কলেজে যাবেন, উচ্চ শিক্ষার প্রথম ধাপ। এবার উচ্চমাধ্যমিকে খাস কলকাতা থেকে প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছেন ৫ জন পড়ুয়া। ফলাফল প্রকাশের পর একে একে কথা বলা গেল তাঁদের সঙ্গে। সৌনক কর। এবারের উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম স্থানে তাঁর নাম। কলকাতার মধ্যে প্রথম। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২। স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র শিক্ষক-আত্মীয়দের শুভেচ্ছাবার্তার মাঝেই জানালেন, আশা ছিল। তবে একেবারে পঞ্চম স্থানে সেটা ভাবতে পারেননি। স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বাস গলায়। পড়াশোনা করেছেন কতটা? বলছেন স্কুলের, টিউশনের পড়ার বাইরেও নিজেকে সময় দিতেন অন্তত ৬ ঘন্টা। মূল মন্ত্র বিষয় ভালো করে খুঁটিয়ে পড়া, শিক্ষকের পরামর্শ শুনে ঠিক সেভাবে চলা। আর বড় হয়ে কী হতে চান? সৌনকের সাফ উত্তর, গবেষক হবেন তিনি। পড়াশোনা করবেন গণিত নিয়ে। পছন্দের তালিকায় আইএসআই, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স। গণিতের পর তাঁর প্রিয় বিষয় সাহিত্য।হিন্দু স্কুলের অর্ঘ্যদীপ দত্ত এবার উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে অষ্টম স্থানে, কলকাতায় দ্বিতীয় স্থানে। প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। খবর শুনেছেন স্কুল শিক্ষকদের ফোনে। বাড়িতে ফোন আসছে অনর্গল, তার মাঝেই জানালেন পড়াশোনা, প্রিয় বিষয়, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। তাঁর মতে অল ইন্ডিয়া লেভেলে যে সমস্ত পরীক্ষা হয়, একাদশ-দ্বাদশে সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য অনেকেই বোর্ডের পাঠক্রমের দিকে নজর দেন না। কিন্তু উচিত সেদিকেই নজর দেওয়ার। খুঁটিয়ে পড়া উচিৎ পাঠক্রমের বই, বাকিটা বুঝে নেওয়া উচিৎ মন দিয়ে। সায়েন্স ভালো লাগে, তবে সাহিত্যের দিকে ঝোঁক শুরু থেকেই। মনে করেন সাহিত্য না জানলে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবেন না। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চান। কলেজ লাইফ নিয়ে উচ্ছ্বাস রয়েছে, সঙ্গে রয়েছে চাপা দুঃখ। স্কুলের ১২ বছর পড়েছেন যাঁদের সঙ্গে, এবার পড়াশোনার খাতিরেই রাস্তা হবে আলাদা। অনেকের সঙ্গে আর দেখা হবে না নিয়মিত।রাজ্যে নবম স্থানাধিকারী উজান চক্রবর্তী, কলকাতায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। পাঠভবনের উজান কলা বিভাগের পড়ুয়া। খুব বেশি সময় নয়, পড়াশোনা যতটা করেছেন, মন দিয়ে করেছেন। ছোট থেকে ঝোঁক গান এবং সাহিত্যের দিকে। ইচ্ছে শিক্ষক হওয়ার। উচ্চশিক্ষা করতে চান সাহিত্য নিয়েই। টাকি হাউস (গভর্ণমেন্ট স্পনসর) মাল্টিপারপাস গার্লস হাই স্কুলের সতপর্ণা মিল উচ্চমাধ্যমিকে পেয়েছেন ৪৮৭। রাজ্যে দশম। বলছেন এই ফলাফল তাঁর কাছে প্রত্যাশিত ছিলই। পড়াশোনা? বলছেন বাঁধাধরা নিয়ম ছিল না ঠিকই, তবে মন দিয়ে বরাবর খুঁটিয়ে পড়েছেন পাঠ্যবই। টেস্ট পেপার, কোয়েশ্চন ব্যাঙ্কে সময় দিয়েছেন। ইচ্ছে স্ট্যাটিস্টিক্স নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে ডেটা সায়েন্টিস্ট হতে। কলেজ হিসেবে পছন্দের তালিকায় জেভিয়ার্স, প্রেসিডেন্সি। অন্যদিকে মাধ্যমিকে দশম হওয়ার পর উচ্চ মাধ্যমিকেও ফের দশম স্থানে তন্নিষ্ঠা দাস। প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। নিজে বলছেন, প্রত্যাশিত ছিল না, খামতি ছিল পড়াশোনায়। তবে শিক্ষকদের পড়া, হোমাওয়ার্ক করেছেন প্রতিদিন। সঙ্গে চেষ্টা করেছেন প্রতিদিন অন্তত ৬ ঘন্টা সেলফ স্টাডি করার। মনে করছেন, সারাবছর ধারাবাহিকি পড়াশোনা করা দরকার, দরকার অনুশীলন। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়র হতে চান। যদি তা না হয়? তাহলে চান গবেষণা করতে।নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে এবার প্রথম ১০-এ রয়েছেন ৬ জন। সৌম্যদীপ সাহা, নিলয় চ্যাটার্জি, আদিত্য ব্যানার্জি, অর্ক সাহা, সোহম মুখার্জি, শুভজিত ঘোষ এবার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। সৌম্যদীপ সাহা, দ্বিতীয় স্থানে। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। বলছেন, মিশন তাঁকে নতুন জীবন দিয়েছে। তাই দ্বিতীয় হয়ে মিশনকে কিছু দিতে পেরে তিনি গর্বিত। ভালোবাসেন আবৃত্তি করতে।
  • Link to this news (আজকাল)