সন্দেশখালিতে 'ভুয়ো নারী নির্যাতন', মামলায় ফাঁসলেন শুভেন্দু-রেখা!
২৪ ঘন্টা | ০৯ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দেশখালির সেটিং কাণ্ডে মামলা রুজু। বেরমজুরের বাসিন্দা এক তৃণমূল কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু পুলিসের। গঙ্গাধর কয়াল, বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র, ব্লক ১ সভাপতি শান্তি দলুই, পীযুষ, শুভঙ্কর গিরি, বীণা মাইতিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু। ভাইরাল ভিডিয়োতে যাঁদের দেখা গিয়েছে ও যাঁদের নাম উল্লেখ রয়েছে, তাঁদের নামেই মামলা রুজু। অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীরও। এফআইআর-এ শুভেন্দু অধিকারীর নাম যুক্ত করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে পুলিস।অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালদের স্বীকার করতে দেখা গিয়েছে যে কীভাবে টাকার বিনিময়ে নারী নির্যাতনের ভুয়ো অভিযোগ করানো হয়েছে। ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা পেতেই তা করানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯ ও ১৭১ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। ইতিমধ্যেই গঙ্গাধর কয়ালকে তলব করে নোটিসও পাঠানো হয়েছে বলে খবর পুলিস সূত্রে। ওদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, গঙ্গাধর কয়াল এবং শান্তি দলুইয়ের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানালেন তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ।
ভাইরাল ভিডিয়ো ফুটেজ সহ একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। যার মূল দাবি, শুভেন্দু অধিকারী সহ ৩ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করুক নির্বাচন কমিশন। এপ্রসঙ্গে সাগরিকা ঘোষ বলেন, "যাদের বিরুদ্ধে 'রেপ কেস' করা হয়েছে, সেই 'রেপ কেসগুলো' একদম মিথ্যে। বিজেপির সন্দেশখালির ব্লক-২ এর মণ্ডল সভাপতি স্পষ্ট করে বলছেন যে, মহিলাদের টাকা দিয়ে, ট্রেনিং দিয়ে মহিলাদের দিয়ে মিথ্যে কথা বলানো হয়েছে। এক মহিলা নিজেই আজকে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, উনি ভুল বিবৃতিতে সই করেছেন। ওনার যে অভিযোগটা ছিল সেটা ভুল। সেটা মিথ্যে। গঙ্গাধর কয়াল ভিডিয়োতে বলছেন যে, মহিলাদের ৩০০০ টাকা দিয়ে মিথ্যে করে 'রেপ কেস' দাখিল করানো হয়েছে।"সাগরিকা ঘোষ দাবি করেন, "শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা হোক আর যাদের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।" তোপ দাগেন, "ভারতীয় জনতা পার্টি সন্দেশখালির মহিলাদের অসম্মানিত করেছেন। ওনাদের সাথে অন্যায় করেছেন।" একইসঙ্গে তাঁর দাবি, "আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন পশ্চিমবঙ্গে আসবেন, তখন ওনারা যেন ক্ষমা চান। ওনাদের ক্ষমা চাইতে হবে। যেভাবে ওনারা মিথ্যে প্রচার করেছেন আর যেভাবে মহিলাদের অসম্মানিত করেছেন তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।"