দেশে চলছে লোকসভা নির্বাচন৷ পরিবর্তন বনাম প্রত্যাবর্তনের ভোটযুদ্ধে সামিল ৯৭ কোটির বেশি ভোটদাতা৷ এর মধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের হদিশ! কয়েক মাস আগেই দু'দেশের মধ্যে সক্রিয় আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের খবর পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷তদন্তে জানা যায়, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের জাল ছড়িয়ে ভারতের কলকাতা, বনগাঁ, বারাসাত, দিল্লি, জয়পুর, গুরগাঁও, ফরিদাবাদ থেকে বাংলাদেশের ঢাকা, রাজশাহি, বরিশাল,নারায়ণগঞ্জে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে ওপারের বেশ কিছু লোককে এপারে এনে তাঁদের একটি করে কিডনি কিনে নেওয়া হচ্ছে ৪-৫ লক্ষ ভারতীয় টাকায়৷ এর পরে সেই কিডনিই বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ লক্ষ ভারতীয় টাকায়!
ভারতের গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই এমন ৪৫ জন বাংলাদেশির সন্ধান পেয়েছেন, যাঁদের মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে এপারে এনে কিডনির অস্ত্রোপচার করা হয়েছে৷ এঁদের কয়েকজন বাংলাদেশের বাড়িতে ফিরেও গিয়েছেন৷ ধারাবাহিক তল্লাশি চালিয়ে দিল্লি ও রাজস্থান পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে কিডনি পাচার চক্রের কয়েকজন সদস্য৷
তাদের জেরা করেই জানা গিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশে সক্রিয় বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল ট্যুরিজম সংস্থা এই কিডনি পাচার চক্রের ব্যবসায় যুক্ত৷ এই সংস্থার কর্ণধারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারির জন্য বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন ও পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই চক্রের মধ্যে দালাল, চিকিত্সক, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ব্যক্তি ছাড়া প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও থাকতে পারেন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
আন্তর্জাতিক এই কিডনি পাচার চক্রের লিড হাতে পেয়ে হরিয়ানা পুলিশের হাতে প্রথমে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শামিম নামে এক বাংলাদেশি যুবক৷ রাজশাহির বাসিন্দা শামিম সেখানে একটি ছোট মোবাইলের দোকান চালাতেন৷ এদেশের কিডনি পাচার চক্রের চাঁইরা শামিমকে মোটা টাকার অফার দেয়৷
এর পরে ঢাকা ও কলকাতায় সক্রিয় কয়েকটি মেডিক্যাল ট্যুরিজম সংস্থার মাধ্যমে ঘুরপথে মেডিকেল ভিসা জোগাড় করে শামিম-সহ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিককে প্রথমে কলকাতা ও পরে জয়পুরে আনা হয়৷ অভিযোগ, জয়পুরের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে এঁদের দেহ থেকে একটি করে কিডনি বের করে নেওয়া হয় এবং পরে সেগুলো মোটা টাকায় বিক্রি করা হয়৷