Jannayak Janta Party : হরিয়ানায় সরকার ফেলতে 'হাতে' হাত JJP-ও
এই সময় | ০৯ মে ২০২৪
চণ্ডীগড়: লোকসভা ভোটের মধ্যেই হঠাৎ সঙ্কটে হরিয়ানার বিজেপি সরকার! মঙ্গলবারই তিন জন নির্দল বিধায়ক হরিয়ানার বিজেপি সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আর বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী 'জননায়ক জনতা পার্টি' (জেজেপি) বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেস যদি হরিয়ানায় বিজেপি সরকার ফেলতে চায়, তা হলে সাহায্য করতে তৈরি তারা।হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নবাব সিং সাইনির অবশ্য দাবি, তাঁর সরকার মোটেই অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে না। তবে সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে কোনও জোরালো যুক্তি দিতে পারেননি সাইনি। নির্দল বিধায়ক সোমবীর সাঙ্গওয়ান, রণধীর সিং গোলেন এবং ধরমপাল গোন্দের মঙ্গলবারই বিজেপির উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, সাইনি প্রশাসন এখন সংখ্যালঘু।
অবিলম্বে এই সরকার ভেঙে দিয়ে হরিয়ানায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। হরিয়ানায় পুনরায় ভোট হলে কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন এই তিন নির্দল বিধায়ক। ইতিমধ্যে বুধবার জেজেপি নেতা দুষ্মন্ত চৌতালা বলেন, 'বিরোধী দলনেতা ভূপিন্দর সিং হুডাকে বলতে চাই, বর্তমান বিধায়ক সংখ্যা অনুযায়ী হরিয়ানায় সাইনি সরকার এখন সংখ্যালঘু। সেক্ষেত্রে লোকসভা ভোটের মধ্যেই কংগ্রেস যদি সাইনির সরকার ফেলার চেষ্টা করে, তা হলে আমরা বাইরে থেকে পুরোদস্তুর সমর্থন দেব। আর একটা কথা স্পষ্ট করে দিতে চাই, জেজেপি বিজেপির সঙ্গে আর জোটে যাবে না।'
হরিয়ানার ৯০ সদস্যের বিধানসভায় এখন রয়েছেন ৮৮ জন বিধায়ক। কার্নাল এবং রানিয়ার বিধানসভা আসন ফাঁকা। ৮৮ জনের মধ্যে বিজেপির ৪০ জন বিধায়ক, কংগ্রেসের ৩০, জেজেপির ১০, নির্দল ৬ এবং INLD আর হরিয়ানা লোকহিত পার্টির একজন করে সদস্য। এখন বিজেপি সরকারের কাছে দু'জন নির্দল প্রার্থীর সমর্থন রয়েছে। তবে, নিজেদের সংখ্যালঘু সরকার বলতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী সাইনি।
তাঁর বক্তব্য, 'কংগ্রেস নিজেদের ইচ্ছেপূরণ করতে চাইছে। আসলে কংগ্রেস জনগণের ইচ্ছের কথা ভাবে না, ব্যক্তিগত স্বার্থপূরণেই তারা ব্যস্ত। তবে কংগ্রেস জানে সোজাপথে তাদের সরকার গঠনের ইচ্ছেপূরণ হবে না, তাই জনতাকে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমার সরকারের কোনও সমস্যা নেই, সেটা ভালোই চলছে।'
হরিয়ানা বিধানসভার স্পিকার জ্ঞানচাঁদ গুপ্তারও দাবি, '১৩ মার্চ আস্থাভোট জিতেছেন সাইনি, কী করে তাঁর সরকার সংখ্যালঘু হতে পারে? সরকার অটুট রয়েছে।' তবে কংগ্রেস কি সাইনি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারে? স্পিকারের দাবি, 'সাধারণত, একটা অনাস্থা আনার অন্তত ছ'মাস পরে অন্যটা আনা যায়, ফলে নিয়ম অনুযায়ী এখন সাইনির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যায় না।'
হরিয়ানার কংগ্রেস প্রধান উদয় ভান জানিয়েছেন, রাজ্যপালকে চিঠি লিখবেন তাঁরা। সাইনি সরকার এখন সংখ্যালঘু, তাই অবিলম্বে সরকার ভেঙে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নতুন করে ভোটগ্রহণের অনুরোধ জানাবেন। তবে রাজ্যপাল সেই দাবি মানেন কি না, সেটাই দেখার।