কেমন ছিল রবিঠাকুরের ইংরেজি হাতের লেখা? দেখে নিন জীবন্ত ঐতিহাসিক দলিল
এই সময় | ০৯ মে ২০২৪
ভারতের জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 'ভারত ভাগ্য বিধাতা' শীর্ষক এই গানটি মোট পাঁচটি ভাগে বিভক্ত। তার মধ্যে কেবলমাত্র প্রথম অংশটিকেই জাতীয় সংগীত হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে স্বাধীন ভারতে। তবে আপনি কি জানেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এই গানের একটি ইংরেজি অনুবাদও রয়েছে? যা কবিগুরু নিজেই অনুবাদ করেছিলেন। সে কথা সকলকে স্মরণ করাল নোবেল কমিটি। এদিকে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইংরেজি হাতের লেখা দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। ইংরেজিতে লেখা জন গণ মন গানের লাইনগুলি যেন রবীন্দ্রপ্রেমীদের কাছে জীবন্ত ঐতিহাসিক দলিল।রবিঠাকুরের জন্মদিনে নোবেল কমিটির অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে 'জন গণ মন'-র ইংরেজি অনুবাদটি শেয়ার করা হল। যা কেবলমাত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুবাদ করাই নয়, তাঁর নিজের হাতে লেখা। ক্যাপশনে লেখা হয়, 'ভারতের জাতীয় সংগীতের এই ইংরেজি অনুবাদ নিজে হাতে লিখেছিলেন কিংবদন্তী বাঙালি চিন্তাবিদ এবং সমাজ সংস্কারক। ১৯১৩ সালে বাঙালি এই কবি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।' নোবেল কমিটির পোস্ট করা সেই ঐতিহাসিক দলিল ইতিমধ্যেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীতে নোবেল কমিটির শেয়ার করা দুর্লভ সেই লেখা ইতিমধ্যেই ১৬০ হাজার ৯০০ ভিউ এনে দিয়েছে এক্স হ্যান্ডেলে। রিয়্যাকশন এসেছে ২ হাজার ২০০। শেয়ার হয়েছে ৬৪৪টি।
নোবেল কমিটির এই পোস্টটি দেদার শেয়ার হতে শুরু করেছে নেটপাড়ায়। এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লেখেন, 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার সোনার বাংলা গানটিও রচনা করেছিলেন। এটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। তিনিই একমাত্র যিনি দুই দেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা।' অপর একজন লেখেন, 'বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত।'
নো ইন্ডিয়া সরকারি ওয়েবসাইট মোতাবেক, ভারতের জাতীয় সংগীত মোট ৫২ সেকেন্ডের। এ ছাড়াও ভারতের জাতীয় স্তোত্র বন্দে মাতরম। সংস্কৃত ভাষার এই গানটি রচনা করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে বিশেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিঠাকুরের একটি কবিতার কয়েকটি লাইন আবৃত্তি করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। কবিতার লাইনগুলির ব্যাখ্যাও দেন নিজের ঢঙে। রাতারাতি ভাইরাল নমোর রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপনের সেই ভিডিয়ো। যেখানে অডিয়ো-ভিজুয়ালের মাধ্যমে বিশ্বকবির জীবনের নানা মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে।