Yusuf Pathan : পিচ যা-ই হোক, স্লগ করে যাচ্ছেন ইউসুফ
এই সময় | ০৯ মে ২০২৪
এই সময়: ভোটে দাঁড়াবেন এমনটা কখনও ভাবেননি। ক্রিকেট ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান, বাইশ গজেই তিনি স্বচ্ছন্দ ছিলেন। স্লগ ওভারে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে বহুবার জিতিয়েছেন। তাঁর অফ ব্রেকের ভেল্কিতে বোকা বনে গিয়েছেন ব্যাটাররাও। কিন্তু এবার তিনি খেলতে নেমেছেন অচেনা পিচে। প্রতিপক্ষ বেশ শক্তিশালী। তবু রিল্যাক্সড মুডেই রয়েছেন বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। প্রথমবারের জন্য ভোটের ময়দানে লড়তে নামলেও নিজের জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী তিনি।কিন্তু ব্যাট-বল ছেড়ে হঠাৎ রাজনীতির ময়দানে কেন? ‘সত্যি কথা বলতে কী, রাজনীতিতে আসব এটা কখনও ভাবিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে যখন প্রথম প্রস্তাবটা আসে আমি তো না-ই করে দিয়েছিলাম। তার পর অনেক ভেবেচিন্তে রাজনীতির নতুন ইনিংস শুরু করলাম’, সোজা ব্যাটে জবাব দিলেন ইউসুফ। প্রতিপক্ষে রয়েছেন টানা পাঁচবারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। যিনি রাজনীতিতে যথেষ্ট পোড়খাওয়া। বহরমপুরের মাঠঘাট তাঁর চেনা। যদিও সে সব নিয়ে একেবারেই বিচলিত নন ইউসুফ। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘প্রতিপক্ষ কে আছেন, সেটা দেখে আমি কখনও খেলতে নামি না।’
ইউসুফ বড় হয়েছেন গুজরাটের বরোদায়। বাংলার সঙ্গে সে অর্থে কোনও কানেকশন নেই তাঁর। সে জন্য তাঁর গায়ে লেগেছে বহিরাগত তকমা। ইউসুফ অবশ্য আশ্বস্ত করছেন, আগামী দিনেও তিনি বহরমপুরেই থাকতে চান। দলের নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছেন। ভোট প্রচারে বেরিয়ে মিশে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। লোকজনের সঙ্গে হাসিমুখে সেলফি তুলছেন। ইয়ং ছেলে-মেয়েরা কাছে পেলেই তাঁকে জড়িয়ে ধরছে।
ইউসুফ বলছেন, ‘বিরোধীরা কী বললেন সেটা বড় কথা নয়, সাধারণ মানুষ আমাকে অ্যাকসেপ্ট করছে কি না, সেটা অনেক বেশি ইমপর্ট্যান্ট।’
এই ক’দিনের মধ্যেই জেনে ফেলেছেন, বহরমপুরের আসল সমস্যাটা কোথায়। তাঁর কথায়, ‘এখানকার বহু ছেলে-মেয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে বাইরে কাজ করতে যান। তাঁরা যাতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে তার জন্য কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। এক সময়ে মুর্শিদাবাদ সিল্কের খুব খ্যাতি ছিল। সেটাকে আবার ফেরানো দরকার। বহরমপুরে একটা বড় স্পোর্টস সেন্টার বানাতে চাই।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্ত ইউসুফ বলছেন, ‘অতীতে কী হয়েছে ভুলে যান। এবার বহরমপুরে সত্যিকারের খেলা হবে।’