• TET-এ ৩৯২৯ শূন্যপদ নিয়ে নয়া রায় সুপ্রিম কোর্টের
    এই সময় | ১০ মে ২০২৪
  • ২০১৪ সালের TET পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩৯২৯ টি পদ নিয়ে নতুন রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩৯২৯ পদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করার বিষয়ে আর কোনও আইনি বাধা রইল না। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত এই মামলাটি।উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে TET পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে একটি ২০১৬ সালে এবং অপরটি ২০২০ সালে। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের তরফে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি। কিন্তু, বিভিন্ন কারণের জন্য তিন হাজার ৯২৯টি পদ শূন্যই থেকে গিয়েছিল। এই প্রায় ৪ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার কাদের রয়েছে? এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়েছিল।

    যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা ২০১৪ সালে TET পাশ করে তাঁদের দাবি ছিল বাকি পদগুলিতে রয়েছে তাঁদের অগ্রাধিকার। মামলাটি বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতে ওঠে এবং সেখানেই সুপ্রিম কোর্ট এই দাবি খারিজ করে দেয়। এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে পদগুলি বাকি রয়েছে সেগুলি আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের তরফে। অর্থাৎ তা ২০২২ সালের যে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল তার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক করা হবে নিয়োগ।

    উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা গিয়েছিল তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। তিনি সেই সময় মেধার উপর ভিত্তি করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশকে মান্যতা দিল না। শূন্যপদগুলি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ভবিষ্যতের শূন্যপদ থেকে নিয়োগ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটিই বাতিল করে দেয়। আর এই নির্দেশে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি যায়। অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের সুদ সমেত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মামলায় আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় পরবর্তী তারিখ দিয়েছে। SSC জানিয়েছে, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী বাছাই করা সম্ভব।
  • Link to this news (এই সময়)