'এই হাস্যকর নাটকটা না করে পুলিশকে তদন্ত করার অনুমতি দেওয়ার সাহসটা দেখাতে পারতেন', এই সময় ডিজিটাল-এ ফুঁসে উঠলেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী। রাজভবনের তরফে এদিন ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিটের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়। এরপরেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ফের সরব হন ওই মহিলা। তিনি বলেন, 'তিনি রাজভবনের কর্মীদের সত্যিটা বলার জন্য অনুমতি দিতে পারতেন। কিন্তু, ওই নিগ্রহকারী, শয়তানটার অবস্থা এখন 'চিত্ত আমার ভয়পূর্ণ, বিকৃত মম শির'।বৃহস্পতিবার রাজভবনের তরফে ঘটনার দিনের CCTV ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা ছাড়াও কিছু আগ্রহীরা গিয়ে তা দেখে এসেছেন।
এরপরেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা রাজভবনের ওই অস্থায়ী কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এই সময় ডিজিটাল। তিনি বলেন, 'রাজ্যপাল মহাশয় নিজে এই রকম একটা কুরুচিকর কাজ করলেন। এখন আবার নিজের দোষ ঢাকার জন্য উনি হাস্যকর এক নাটক মঞ্চস্থ করলেন। সেটা করতে গিয়ে তিনি আমার ফুটেজটা প্রকাশ্যে আনলেন। আমি জানতাম ভারতীয় আইনে রয়েছে যে অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রেখে তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি আবার অপরাধ করলেন।'
ওই মহিলা কর্মীর সংযোজন, 'এর পরেও কেউ কিছু করতে পারবে না। আমি সাধারণ মানুষ, আর তিনি রাজ্যপাল। ওঁর জন্য আমার এবং আমার পরিবারের যে সম্মানহানি হয়েছে এবং আজ আমার অনুমতি ছাড়া এই ফুটেজ প্রকাশ করে যে অসম্মানটা করলেন এরপর তো আত্মঘাতী হওয়া ছাড়া আমার কাছে কোনও রাস্তা থাকবে না। তবে যদি কোনও তদন্ত হয়...যদি সত্যিটা সামনে আসে...'।
ওই অভিযোগকারী বলেন, ‘আমি CCTV-র টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে অত বলতে পারব না। তবে পুলিশ আউট পোস্টে যাচ্ছি কাঁদতে কাঁদতে… দেখলাম।’ উল্লেখ্য, এদিন রাজভবনের তরফে ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিটের একটি CCTV ফুটেজ দেখানো হয়। বুধবার জানানো হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পুলিশ বাদ দিয়ে রাজ্য়ের যে কোনও বাসিন্দা এই ফুটেজ দেখতে পারবেন।
উল্লেখ্য, শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলে অভিযোগকারিণীর নাম বা তাঁর পরিচয় কোনওভাবেই লঙ্ঘন করা যায় না। রাজভবনের অস্থায়ী ওই কর্মীর অভিযোগ, রাজ্যপাল এই নিয়ম ভঙ্গ করে CCTV ফুটেজে তাঁকে দেখিয়েছেন। এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজাও।