Nirmal Kumar Saha : অঙ্ক ঠিক ঘুরে যাবে, আশায় ডাক্তারবাবু
এই সময় | ১০ মে ২০২৪
এই সময়, বহরমপুর: বহরমপুর তথা গোটা মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষের কাছে তিনি শ্রদ্ধেয় ডাক্তারবাবু। নির্মল ডাক্তারের নাম শোনেননি, বহরমপুর শহরে এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বহরমপুর শহরে কল্পনা সিনেমা হাউস মোড়ে নিজের বাড়িতেই চেম্বার খুলেছেন। রোজ সকাল থেকে সেখানে রোগীদের ভিড় লেগে থাকে।এক সময়ে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীরও চিকিৎসক ছিলেন। দীর্ঘ ডাক্তারি জীবনে বহু মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচিয়ে তুলেছেন। বিনামূল্যে গরিব মানুষের চিকিৎসাও করেন। তার জন্য অনেকের কাছে তিনি সাক্ষাৎ ভগবান। হিন্দু-মুসলিম সকলের তিনি প্রিয়পাত্র। সেই নির্মল সাহাকেই এ বার বহরমপুরে লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে বিজেপি। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই তিনি লাইমলাইটে। অনেকে বলছেন, বহরমপুরে ভোটের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে নির্মল ডাক্তারের হাতেই।
এত দিন রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না-থাকলেও তাঁর পরিবার বরাবরই সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ। কাকা মণিগোপাল সাহা সঙ্ঘের দীর্ঘদিনের কর্মী ছিলেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় আরএসএসের সংগঠন গড়ে তোলার পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। নির্মলের বড় দাদা কল্যাণকুমার মুর্শিদাবাদ চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি। জেলায় আরএসএস পরিচালিত একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বেও রয়েছেন। ফলে গেরুয়া পরিবারের সঙ্গে নির্মলবাবুর অনেক দিনের যোগাযোগ। তবে প্রার্থী হিসেবে নির্মলের সবথেকে বড় প্লাস পয়েন্ট হলো হিন্দু-মুসলিম সকলের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক।
বহরমপুর লোকসভার মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে— বড়ঞাঁ, কান্দি, ভরতপুর, রানিনগর, বেলডাঙা, নওদা এবং বহরমপুর। গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল ও কংগ্রেসের দ্বিমুখী লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। যদিও গত বিধানসভা ভোটে সেটা উল্টে যায়। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি, তৃতীয় স্থানে নেমে যায় কংগ্রেস। গত কয়েক বছরে মুর্শিদাবাদ জেলায় হিন্দু প্রধান এলাকাগুলিতে সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই বাড়িয়েছে বিজেপি। তাই অনেক হিসেব কষেই একজন জনপ্রিয় ডাক্তারকে বিজেপি-র তরফে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
নির্মল বলছেন, ‘আমি যখন রোগী দেখি তখন আমার কাছে কে হিন্দু আর কে মুসলিম, সেটা কখনও মাথায় আসে না। তাই সব ধর্মের মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। আমি মনে করি প্রত্যেকেই মানুষ। মানুষই ঠিক করে দেবে, কে তাঁদের প্রতিনিধি হবেন।’