সমীর ধর, আগরতলা: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল ত্রিপুরা সরকার। ত্রিপুরা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে বলেছে, রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা আইনত গ্র্যাচুইটি প্রাপ্য। রাজ্য সরকারকে অবসরের ৩০ দিনের মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের গ্র্যাচুইটি মিটিয়ে দিতে হবে। দেরি হলে দিতে হবে সুদ সমেত। হাইকোর্টে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের হয়ে এই মামলা লড়েছেন বরিষ্ঠ আইনজীবী পুরুষোত্তম রায়বর্মন। তিনি এদিন সাংবাদিকদের জানান, রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা দীর্ঘকাল ধরেই বঞ্চিত। অবসরের পর অতি সামান্য পেনশন পান। ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্ট গুজরাটের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের একটি মামলায় রায় দিয়ে বলেছিলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা তৃণমূল স্তরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন। তাঁরা ১৯৭২ সালের পেমেন্ট অব গ্র্যাচুইটি আইন অনুসারে অবসরের পর গ্র্যাচুইটি প্রাপ্য। সেই রায় সারা দেশের জন্য কার্যকর হলেও ত্রিপুরা সরকারের সমাজ শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ দপ্তর অবসরপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের গ্র্যাচুইটি দিতে অস্বীকার করে। গত বছর এর বিরুদ্ধে ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হাইকোর্টে মামলা করেন। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এস দত্ত পুরকায়স্থ ত্রিপুরা সরকারকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি দেওয়ার নির্দেশ দেন। আইনজীবী পুরুষোত্তম জানান, এই রায়ের ফলে রাজ্যের ১০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা উপকৃত হবেন। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ইউনিয়নের সহ-সভানেত্রী জয়া বর্মন মনে করেন, এই রায়ে তাঁদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি আদায়ের পথ সুগম হল।