'এখন যা পরিস্থিতি, আমার আত্মহত্যা করা ছা়ড়া আর কোনও উপায় নেই'!
২৪ ঘন্টা | ১০ মে ২০২৪
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায় ও পিয়ালী মিত্র: রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ এবার জনতার দরবারে! 'এখন যা পরিস্থিতি, আমার আত্মহত্যা করা ছা়ড়া আর কোনও উপায় নেই দেখতে পাচ্ছি', বললেন অভিযোগকারিণী।
ঘটনাটি ঠিক কী? 'শ্লীলতাহানি'তে অভিযুক্ত খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস! রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে চিঠি দিয়েছিল লালবাজার। কিন্তু 'পুলিসকে নয়,জনতাকে ফুটেজ দেখানো'র সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। গতকাল, বুধবার ই-মেল আইডি ও ফোন নম্বর জানিয়ে বিবৃতি জারি করা হয়। বলা হয়, প্রথম ১০০ জন আবেদনকারীকে রাজভবনের ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হবে আজ, বৃহস্পতিবার।রাজভবন সূত্রে খবর, ভিডিয়ো দেখার জন্য আবেদন করেছিলেন ৬৩ জন, কিন্তু এসেছিলেন ৩ জন। বিকেল ৫.৩২ থেকে ৬.৪১ মিনিট রাজভবনের দুটি ফুটেজ দেখানো হয়। মেন গেট ও নর্থ গেটের সিসিটিভি ক্যামেরা যে ছবি ধরা পড়েছে, সেই ছবি-ই প্রকাশ্যে এনেছে রাজভবন।অভিযোগকারিণী বলেন, 'ভিডিয়োতে যেটা দেখলাম, সেই খুবই অস্পষ্ট। আমি যাচ্ছি কাঁদতে কাঁদতে, সেটাও দেখলাম। নিচের তলায় সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারির ঘরের বাইরের ওই ফুটেজটা বোধহয় আপনাদের দেখানো হয়নি। যদি ওটা দেখতে তাহলে বুঝতে পারতেন, ওখানেও কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমি কাঁদতে কাঁদতে ওনার ঘরে ঢুকেছি এবং কথা বলে বেরিয়ে এসেছি'।ওই মহিলার মতে, 'হাস্য়কর নাটক না করে, পুলিসকে তদন্ত করতে দিলে আমরা মনে হয় সেটা আরও বেশি কার্যকরী হত। রাজ্যপাল মহাশয় নিজে একটি একটা কুরুচিকর কাজ করলেন এবং নাটক মঞ্চস্থ করলেন। আমার ফুটেজটা প্রকাশ্যে আনলেন...আমি যতদুর জানি, ভারতীয় আইনে এটা আছে যে, অভিযোগকারিণীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এখন যে ফুটেজটা ভাইরাল হয়েছে, সেখানে কিন্তু প্রকাশ্যে আমাকে দেখা যাচ্ছে। এখন যা পরিস্থিতি, আমরা আত্মহত্যা করা ছা়ড়া আর কোনও উপায় নেই দেখতে পাচ্ছি। তখন যদি বিচারটা পাওয়া যায়। উনি যে পজিশনে হসে আছেন, ওনার বিরুদ্ধে তো কিছু হবে না'।এদিকে পুলিস সূত্রে খবর, রাজভবনে শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই ঘটনাটি ঘটেছে বিকেল ৪ থেকে সাড়ে ৪ টার মধ্যে। অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, ঘড়িতে তখন সাড়ে ৪টে। সেদিন বিকেলে রাজ্যপালের চেম্বার থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসেন অভিযোগকারিনী। এরপর প্রায় ৪০ মিনিটে তাঁকে পিবিএক্স রুমেই আটকে রাখেন রাজভবনের কয়েকজন কর্মী। এমনকী, মোবাইলও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়!পিবিএক্স রুম থেকে রাজভবনে নিচের তলায় বিশেষ সচিবের ঘরে যান অভিযোগকারিনী। সেখান তখন একজন চিকিৎসকও ছিলেন। সকলে মিলে তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এর মিনিট দশেক পর বিশেষ সচিবের ঘর থেকে বেরিয়ে রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে পুলিস আউটপোস্টের দিকে চবে যান ওই মহিলা। পুলিসে দাবি, সেই সময়ে সিসিটিভি ফুটেজও দেখান হয়েছে।