প্যাচপ্যাচে গরম থেকে অবশেষে রেহাই মিলেছে। স্বস্তি দিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি তীব্র তাপপ্রবাহের অবসান ঘটিয়েছে। এই মনোরম আবহাওয়া আর কতদিন? সকলেরই প্রশ্ন, আবার কি ফিরবে জ্বালাপোড়া গরম? অসহনীয় লু বইবে রাজ্যে রাজ্যে? কী জানাচ্ছে মৌসম ভবন?বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দিল্লি-NCR সহ সংলগ্ন এলাকার আকাশ ছিল মেঘলা। সন্ধ্যা হতে না হতেই ঝেঁপে বৃষ্টি নামে রাজধানী শহরে। বইতে শুরু করে ঝোড়ো হাওয়া। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আবহাওয়ার এই ভোলবদল ঘটেছে। শুক্রবার থেকে এই ঝড়বৃষ্টি আরও বাড়বে বলেই জানাচ্ছে IMD। দিল্লি এবং NCR এলাকায় ১০ মে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়া বইবারও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিন্তু থাকতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোঠাতেই। ন্যূনতম তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হরিয়ানাতেও আবহাওয়ার বদল হচ্ছে। গরম থেকে স্বস্তি মিলেছে সেখানেও। একাধিক এলাকায় বুধবার থেকে টানা চলছে বৃষ্টি। মৌসম ভাবন জানিয়েছে হরিয়ানায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর প্রদেশের লখনউ এবং আশপাশের অঞ্চলে বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাত হয়। তারপর থেকেই আবহাওয়া অনেকটা আরামদায়ক হয়। আগামী ১৩ মে পর্যন্ত লখনউ সহ সে রাজ্যের একাধিক এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রপাতেরও পূর্বাভাস রয়েছে।
রাজস্থানে গরমে নাজেহাল জনতা। শুক্রবার পর্যন্ত সেখানে গরম থেকে মুক্তি মেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। ১০ মে বিকানের, জয়পুর, ভরতপুরে হিটওয়েভ জারি থাকবে। তবে ১০ থেকে ১১ মে-এর মধ্যে একটি নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সক্রিয়া হওয়ার জেরে উদয়পুর, চিতোড়গড়, ভিলওয়ারা, রাজসম্বংদ, সলুম্বর এবং কোটা, যোধপুর, ফলৌদি, জয়সলমের, বারমের, বালোতরা এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে ১১ মে থেকে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। এমনটা হলে আগামী ১৩ মে পর্যন্ত বৃষ্টিপর পূর্বাভাস রয়েছে।
IMD জানাচ্ছে, হরিয়ানার একাধিক জেলায় ৯ মে সন্ধ্যা ৫টার পর থেকে বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। নঙ্গাল চৌধুরী, নারনেল অটেলি, মহেন্দ্রগড়, কনীনা, মাদরা, চরখি দাদরি, বাওয়ল, রেবড়ি, কসৌলি, মাতলহোল, ঝাঁঝর সহ একাধিক এলাকায় অরেঞ্জ আলার্ট জারি করা হয়েছে।
পঞ্জাবেও গরমে নাজেহাল পরিস্থিতি। গত বুধবার ৪৩ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল সেখানকার তাপমাত্রা। তবে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার সেখানকার বেশ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ১১ এবং ১২ মে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হবে পঞ্জাবে।
উল্লেখ্য, বড়সড় স্বস্তি মিলেছে পশ্চিমবঙ্গে। শুক্রবারও ঝড়বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে বঙ্গে। ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে দমকা হাওয়ার দেখা মিলতে পারে। বেশ কিছু জায়গায় বজ্রপাতের তীব্রতা বেশি থাকবে। চলতি উইকএন্ড অর্থাৎ রবিবার পর্যন্ত টানা ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া দফতর।