Uttar Pradesh News : ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে যৌন হেনস্থা, রেললাইনে ধাক্কা দিয়ে খুন! কলেজ ছাত্রীর মর্মান্তিক পরিণতি
এই সময় | ১০ মে ২০২৪
উত্তর প্রদেশের বরেলিতে এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করে খুন করার অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় ওই ছাত্রী কলেজ যাচ্ছিল। সে সময় অভিযুক্ত ফরিয়াদ হুসেন মেয়েটিকে জোরজবরদস্তি করে বাইকে তুলে নেয়। এরপর চলন্ত ট্রেনের সামনে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। রেললাইন থেকে মেয়েটির দ্বিখণ্ডিত দেহ উদ্ধার হয় বলে খবর।
এই ঘটনার পর মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানায় গিয়ে হাঙ্গামা শুরু করে। পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ছাত্রীকে লাগাতার উত্যক্ত করার অভিযোগজানা গিয়েছে, নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রী নয়া বস্তি এলাকার ফতেগঞ্জ পূর্ব থানা এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের দায়ের করা মামলা অনুযায়ী, অভিযুক্ত ফরিয়াদ গত সাত মাস ধরে ১৫ বছরের ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করত। প্রায় প্রতিদিনই তার পিছু ধাওয়া করত ফরিয়াদ। তাকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ইঙ্গিত করত।
মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করতেই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে আসে। কলেজ ছাত্রী জানায়, অভিযুক্ত ফরিয়াদ তার ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে দিয়েছে। এরপর তাকে প্রাণ মারার হুমকি দিতে শুরু করে।
গত ৮ মে পরীক্ষার ফর্ম ফিল আপ করতে কলেজ যাচ্ছিল ছাত্রী। পথে অভিযুক্ত তাকে জোর করে বহগুল নদীর ধারে ব্রিজের উপর নিয়ে যায়। FIR-এ আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফরিয়াদ প্রথমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। তারপর তাকে ট্রেনের সামলে ফেলে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। দ্রুতগতিতে আসা ট্রেনের নীচে পড়ে শরীর দু'টুকরো হয়ে যায় মেয়েটির।
বরেলি থানার ফতেগঞ্জ পূর্ব এলাকার এই ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। পুলিশ আধিকারিক দক্ষিণী মানুষ পারিক বলেন, '৮ মে বরেলি থানার ফতেগঞ্জ পূর্ব এবং জনপদ শাগজঙ্ঘাপুরের থানা কটরার স্থানীয় স্টেশম মাস্টার রেললাইনের উপর একটি দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেন। ঘটনার খবর পেতেই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় শাহজাহাপুরে।' তিনি আরও বলেন, 'মৃতের পরিবার ফতেগঞ্জ পূর্ব থানায় আগেই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপর শুরু হয় তদন্ত। অভিযুক্ত ফরিয়াদ ফতেগঞ্জ পূর্ব থেকে গ্রেফতার হয়।'
অন্যদিকে, ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ তোলায় এক মহিলাকে সাড়ে চার বছর এবং আট দিনের সশ্রম কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানার শাস্তি দিয়েছে উত্তর প্রদশের বরেলি জেলা আদালত। মহিলার ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে অজয় কুমার নমের এক ব্যক্তি চার বছর ধরে জেল খাটছেন। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু, তদন্তের মাঝপথেই ওই মহিলা স্বীকার করেন আসলে তিনি ধর্ষিতা বা অপহৃতা কোনওটাই হননি। আদালতে তিনি এই বিষয়ে বয়ানও দেন।