• Amit Shah : বাংলা ও ওডিশায় আসন বাড়বে দলের, দাবি শাহের
    এই সময় | ১০ মে ২০২৪
  • মণিপুস্পক সেনগুপ্ত

    বিজেপির ‘অব কি বার চারশো পার’ স্লোগানের ভিত্তিটা কী? দেশে লোকসভা ভোটের তৃতীয় দফা মিটে যাওয়ার পরে ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেটাই কার্যত খোলসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর দাবি, দেশের চারটি রাজ্যে গেরুয়া ঝড় আসতে চলেছে। শাহের কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা, তেলঙ্গানা এবং অন্ধপ্রদেশে বিজেপি এ বার উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো ফল করবে।’ প্রথম তিন দফার ভোট শেষে এনডিএ জোট দু’শোর কাছাকাছি আসন পেয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।এ বারের লোকসভা ভোটে কোন দল কতগুলি আসন পেল, কারা দিল্লির মসনদ দখল করল, এ সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ৪ জুন। তার আগে শাসক-বিরোধী সবাই নিজেদের আত্মবিশ্বাসী মুখ প্রজেক্ট করতে চাইছে। কংগ্রেস যেমন জোর গলায় প্রচার করছে, গদি ওল্টাচ্ছেই। এবং ‘ইন্ডিয়া’ জোট সরকার তৈরি করছে। তেমনই বিজেপির স্লোগান, ‘অব কি পার চারশো পার’। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা আপাতত ব্যস্ত নিজেদের ভবিষ্যদ্বাণীকে ভোটারদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে। সম্ভবত সেই লক্ষ্যেই ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহ বলেছেন, ‘পাঞ্জাব থেকেও আমরা গতবারের থেকে কিছু বেশি আসন পাব। হতে পারে সেটা প্রতীকী। কিন্তু ওই রাজ্যে আমাদের শুরুটা ভালো হতে চলেছে।’

    শাহের প্রত্যয়, ‘উত্তর-পূর্ব ভারতেও আমরা নিজেদের আসনগুলি ধরে রাখতে পারব।’ মণিপুরের ঘটনার পর উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ভরসা যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন রাজনৈতির পর্যবেক্ষকরা। শাহের দাবি, উত্তরপ্রদেশ থেকেও এ বার বিজেপির আসন বাড়বে। অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির পর উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির আসন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করছে বিরোধী শিবিরেরও অনেকে। শাহের কথায়, ‘তামিলনাড়ু ও কেরালাতেও আমাদের ভোট শতাংশের হার বাড়তে চলেছে। খাতাও খুলবে বিজেপি।’ দক্ষিণ ভারতের এই দুই রাজ্যে লোকসভায় বিজেপির একটি আসনও নেই।

    গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ১৮টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। এ বার নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা এ রাজ্য থেকে ৩০-৩৫টি আসনে জেতার টার্গেট নিয়েছেন। শাহ বাংলা থেকে আসন বাড়ানোর কথা বললেও রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে যে তিন দফায় ১০টি আসনে ভোট হয়েছে, পাঁচ বছর আগে তারমধ্যে সাতটিই বিজেপির দখলে ছিল। সেখানে কি আসন সংখ্যা আদৌ বাড়বে?

    ‘দি ইকোনমিক টাইমস’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিপর্যয় খাতের টাকা নিয়েও বিরোধীদের খোঁচা দিয়েছেন শাহ। কারণ বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলার টাকা আটকে রেখেছে শাহের দপ্তর। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এই খাতে বরাদ্দ চেয়ে রাজ্যগুলি চারটির মতো অবেদন জমা দিয়েছে। একাধিকবার তারা টাকার পরিমাণ পরিবর্তনও করেছে। প্রতিটি আবেদন খতিয়ে দেখা আবশ্যক ছিল। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যায়। এবং আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে যায়। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করতে হয়েছে তহবিলের টাকা ছাড়ার জন্য। রাজ্যগুলি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজনীতি করার জন্য।’
  • Link to this news (এই সময়)