• ছিটকে গেল পাঞ্জাব, বেঙ্গালুরুকে প্লে অফের দৌড়ে টিকিয়ে রাখলেন কোহলি...
    আজকাল | ১০ মে ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এভাবেও ফিরে আসা যায়! হাফ ডজন হারের পর টানা চার জয়। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর।‌ বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় ৬০ রানে পাঞ্জাব কিংসকে হারায় ডু"প্লেসিরা।‌ ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট আরসিবির। বাকি দুই ম্যাচ জিতলে ১৪ পয়েন্টে পৌঁছবে কোহলিরা। বেশ কয়েকটা দল এই পয়েন্টে পৌঁছতে পারে। তাই রানরেট বাড়াতে বাকি দুটো ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে হবে বেঙ্গালুরুকে। শেষ দুটো ম্যাচ ঘরের মাঠে হওয়ায় আরসিবির একটা সম্ভাবনা থেকেই‌ যাচ্ছে। তবে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকিদের রেজাল্টের দিকেও। এদিন দলকে প্লে অফের লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখলেন বিরাট কোহলি। ধর্মশালায় তাঁর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকল। আরও একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। একটুর জন্য হাতছাড়া হয় শতরান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ছিটকে গেল পাঞ্জাব কিংস। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৪১ রান করে আরসিবি। জবাবে ১৭ ওভারে ১৮১ রানে শেষ পাঞ্জাবের ইনিংস। আইপিএলের ইতিহাসে কেকেআরের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার নজির ছিল পাঞ্জাবের। কিন্তু এদিন তার পুনরাবৃত্তি হল না। বরং বড় ব্যবধানে জিতে নিজেদের রানরেট কিছুটা বাড়িয়ে নিল আরসিবি। আবার দুরন্ত বিরাট কোহলি। আরও একটি অর্ধশতরান তুলে নেন। নিজের দখলেই রাখেন কমলা টুপি। দু"বার তাঁর ক্যাচ ফস্কায় পাঞ্জাব। দু"বারই নবাগত বিদ্বাথ কাভেরাপ্পার বলে। একবার শূন্যতে, আরেকবার ১০ রানে। তার খেসারত দিতে হল স্যাম কারনদের। ৪৭ বলে ৯২ রানের অনবদ্য ইনিংস বিরাটের। তাতে ছিল ৬টি ছয়, ৭টি চার। শুরুতে নড়বড়ে দেখালেও পরের দিকে খেলা ধরে নিয়েছিলেন। প্রত্যেক ম্যাচে রান পেলেও কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা চলছিল। এদিন সেটা হতে দেননি আরসিবির প্রাক্তন নেতা। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৯৫.৭৪। কিন্তু একটুর জন্য শতরান হাতছাড়া হয়। টসে জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠান পাঞ্জাবের অধিনায়ক স্যাম কারন। শুরুতে ফ্যাফ ডু"প্লেসি (৯), উইল জ্যাকস (১২) ফিরে গেলেও তৃতীয় উইকেটে ৭৬ রান যোগ করে বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার জুটি। দুর্দান্ত দ্বিতীয়জন। ৬টি ছয়, ৩টি চারের সাহায্যে ২৩ বলে ৫৫ রান করে আউট হন রজত। শেষদিকে ক্যামেরুন গ্রিনের ২৭ বলে করা ৪৬ রান দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়। চতুর্থ উইকেটে ৯২ রান যোগ করে কোহলি-গ্রিন জুটি। শেষ ওভারে হর্ষল প্যাটেল জোড়া উইকেট তুলে না নিলে আড়াইশোর গণ্ডি পেরিয়ে যেত আরসিবি। বেঙ্গালুরু রানের পাহাড় গড়লেও তিন উইকেট নিয়ে পার্পল টুপির মালিক হন হর্ষল প্যাটেল। অভিষেকেই জোড়া উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন কাভেরাপ্পা। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই প্রভসিমরন সিংয়ের উইকেট হারায় পাঞ্জাব। কিন্তু স্কোরবোর্ড সচল রাখেন জনি বেয়ারস্টো এবং রিলি রোসু। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৫ রান যোগ করে এই জুটি। ৪ ওভারেই ৫০ রানে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। পাওয়ার প্লের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে রান ছিল ৭৫। ১৬ বলে ২৭ রান করে ফেরেন বেয়ারস্টো। কিন্তু অন্য প্রান্তে মারমুখী মেজাজে ছিলেন রোসু। ২১ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান। ৮.২ ওভারে একশো রান পূর্ণ করে পাঞ্জাব। কিন্তু রানরেট ভাল থাকলেও নিয়মিত উইকেট হারায়। এটাই পার্থক্য গড়ে দেয়। চোট পাওয়ার পরপরই আউট হন ছন্দে থাকা রিলি রোসু এবং শশাঙ্ক সিং। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ২৭ বলে ৬১ রান করে ফেরেন প্রোটিয়া ব্যাটার‌‌। ইনিংসে ছিল ৩টি ছয়, ৯টি চার। ১৯ বলে ৩৭ করে বিরাটের ডায়রেক্ট থ্রোতে রানআউট হন শশাঙ্ক। রান পাননি জিতেশ শর্মা (৫), লিয়াম লিভিংস্টোন (০), আশুতোষ শর্মা (৮)। ২২ রান করলেও দলকে জেতানোর ক্ষমতা ছিল না স্যাম করনের। টানা দশবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হল পাঞ্জাবকে। 
  • Link to this news (আজকাল)