• 'হিম্মত থাকলে করিডরের ভিডিয়ো সামনে আনুন, সুপ্রিম কোর্টে যাক রাজ্য!'
    ২৪ ঘন্টা | ১০ মে ২০২৪
  • প্রবীর চক্রবর্তী: 'রাজ্যপালের এত ভয় কেন? অভিযোগকারীণিকে আরও অসম্মানিত করেছেন। করিডরের ভিডিও দেখান হিম্মত থাকলে। আপনি আইনের উপরে। আপনার মেয়ের থেকে ছোট, তাকে শ্লীলতাহানি করছেন। কেবিন থেকে বেরনোর সিসিটিভি ফুটেজ দেখান। রাজ্যপাল পদের কলঙ্ক আপনি। চাকরি দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানি করছেন। আমি আইনের উপরে নেই। রাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া উচিত।' এদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    অভিষেকের আরও কটাক্ষ, 'আপনি ভুল করেছেন। ক্ষমা চাইলে কেউ ছোট বা বড় হয় না। বিজেপিকেও বলছি সন্দেশখালি নিয়ে ক্ষমা চান। আপনার ভুল ঢাকতে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আপনি বোনটাকে আরও অসম্মান করছেন। এই জাতীয় মহিলা কমিশন খোঁজ অবধি নেয়নি। এরা আসলে বিজেপি মহিলা কমিশন।'প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের সিসিটিভি ফুটেজের পালটা সিসিটিভি ফুটেজ হাতিয়ার কলকাতা পুলিসের। ২ মে রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে আসছেন অভিযোগকারিণী। কলকাতা পুলিসের হাতে এসেছে সেই সিসিটিভি ফুটেজ। দাবি পুলিস সূত্রের। এরপরই তোপ দাগেন অভিষেক। গতকালই "সচ কা সামনা" বলে একটি অনুষ্ঠান ঘোষণা করে ২ মে, যেদিন ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ, সেদিনের ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের (বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা ৪০-এর) সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ্যে আনে রাজভবন। তবে সেই সিসিটিভি ফুটেজ মূলত রাজভবনের মেইন গেটের পুলিসের আউটপোস্ট সংলগ্ন দুটো সিসিটিভির।যেখানে অভিযোগকারিণী রাজভবনের দিক থেকে হেঁটে ওসি রাজভবনের ও অতিরিক্ত চেম্বারে কখন ঢুকছেন তা দেখানো হয়। সেখানে যদিও তরুণীর কাঁদতে কাঁদতে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসার এই ফুটেজটি দেখানো হয়নি। শ্লীলতাহানি অভিযোগের তদন্তে এখন কলকাতা পুলিসের পালটা হাতিয়ার রাজভবনের ভিতরের অন্য এই ফুটেজটি-ই।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)