গত পাঁচ বছরে হাতে নগদ বেড়েছে অভিষেকের, আর কী কী সম্পত্তির খতিয়ান দিলেন ভোটের হলফনামায়
আনন্দবাজার | ১১ মে ২০২৪
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, তখন তাঁর হাতে নগদ ছিল ৯২ হাজার ৫০০ টাকা। পাঁচ বছরে সেই অঙ্ক অনেকটা বৃদ্ধি পেল। শুক্রবার (১০ মে) মনোনয়ন জমা দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, হাতে এখন নগদ রয়েছে সাত লক্ষ ৭৩ হাজার ৩৩৫ টাকা (৪ মে পর্যন্ত)।
এ বারে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে কোনও নগদ টাকাই নেই। তবে অভিষেকের ১০ বছরের মেয়ে এবং চার বছরের ছেলের হাতে নগদ রয়েছে বলে হলফনামায় জানিয়েছেন তৃণমূলের সেনাপতি। অভিষেকের উপর নির্ভরশীল হিসেবে দু’জনের কথা উল্লেখ করেছেন ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী। গত লোকসভার নির্ভরশীলের সময় সংখ্যা ছিল এক। কারণ তখনও অভিষেকের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়নি। ২০২০ সালে জন্ম হয় অভিষেক-রুজিরার দ্বিতীয় সন্তানের। হলফনামা অনুযায়ী, অভিষেকের দুই সন্তানের কাছে নগদ রয়েছে যথাক্রমে ৬০ হাজার ৭৮১ টাকা এবং ৬১ হাজার ১৬৩ টাকা।
গত লোকসভা ভোটের সময়ে অভিষেকের অস্থাবর সম্পত্তির মোট অঙ্ক ছিল ৭১ লক্ষ ৪০ হাজার ৭৩৯ টাকা ৪৫ পয়সা। পাঁচ বছর পর তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে এক কোটি ২৬ লক্ষ ২০ হাজার ২০৪ টাকা। স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির মোট পরিমাণ ২০১৯ সালে ছিল ৩৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯১৫ টাকা। এ বার তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৮ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৮২ টাকা। গত বার এক সন্তানের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩০ লক্ষ ৯৭ হাজার ৬৬৪ টাকা। এ বার দুই সন্তান মিলিয়ে সেই সম্পত্তির পরিমাণ ২৭ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকার কিছু বেশি। যা কিছুটা কম।
অভিষেক, রুজিরা কারও ক্ষেত্রেই সোনাদানার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়নি। পাঁচ বছর আগেও অভিষেকের কাছে ছিল ৩০ গ্রাম সোনা, এখনও তা-ই রয়েছে। ২০১৯ সালে রুজিরার কাছে ছিল ৬৫৮ গ্রাম সোনা। এ বারও তা-ই রয়েছে। তবে সোনার মূল্যবৃদ্ধির জন্য বাজারমূল্য অনুযায়ী তার অঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্ত হয়েছে এক সন্তানের নামে ৫০ গ্রাম সোনা। যার মূল্য তিন লক্ষ ৩২ হাজার টাকার মতো।
বাড়ি, জমি ইত্যাদি স্থাবর সম্পত্তি গত বারও অভিষেক রুজিরার ছিল না। এ বারও নেই। বাজারে খুব একটা ধারদেনাও নেই অভিষেকের। শুধু একটি আর্থিক সংস্থা থেকে তিন লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মতো ঋণ নিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী। দেনা সংক্রান্ত কোনও জটিলতাও নেই। তবে ফৌজদারি মামলার সংখ্যায় বদল এসেছে। পাঁচ বছর আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলাই ছিল না। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি মামলার উল্লেখ রয়েছে।