• 'ভারতে সংখ্যালঘুরা মোটেও খারাপ নেই, সংখ্যাই তার প্রমাণ,' ব্যাখা EAC-PM অধ্যাপকের
    আজ তক | ১১ মে ২০২৪
  • EAC-PM-এর সমীক্ষা অনুসারে, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যায় মুসলমানদের অংশ ৪৩.১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। খ্রিস্টানরা ৫.৩৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।

    বিশ্বজুড়ে বহু দেশেরও পরিসংখ্যান দেখা হয়। তাতে দেখা যায় ভারত কোনও ব্যাতিক্রম নয়। বিশ্বের সমস্ত লিবারাল, সর্বধর্মসহিষ্ণু দেশগুলিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠদের পার্সেন্টেজ কমেছে। বেড়েছে সংখ্যালঘুদের ভাগ। অধ্যাপক শমিকা রবির মতে, এটি ভারতকে নিয়ে পশ্চিমী দেশগুলির অনেক সমালোচনাই বন্ধ করে দেবে।

    'ভারতে যে পরিবর্তনগুলি ঘটছে তা বিশ্বজুড়ে সমস্ত উদারনৈতিক গণতন্ত্রেই ঘটছে। প্রতিবেশী দেশের তুলনায় সংখ্যালঘুদের প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল ভারত,' ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে বলেছেন শমিকা রবি।

    'আমি মনে করি ধর্মের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং এটির অধ্যয়ন করা গুরুত্বপূর্ণ,' বলেন তিনি৷

    অধাপক বলেন, তাঁর মতো গবেষকরা, যাঁরা সংখ্যা নিয়ে কাজ করেন এবং ধর্মের ভাগের পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন, তাঁরা যখন পশ্চিমী মিডিয়াকে ভারতকে আক্রমণ করতে দেখেন, তখন অবাকই হন। তিনি বলেন, যখন বারবার বলা হয় যে ভারতে সংখ্যালঘুরা সঙ্কটে আছে, তখন আরও অবাক হন। কারণ পরিসংখ্যান সম্পূর্ণ উল্টোটা বলছে। সংখ্যালঘুদের ভাগ ক্রমেই বাড়ছে এদেশে।

    সমীক্ষার প্রধান লেখক পশ্চিমী দেশগুলি ছাড়াও ভারতের মঘ্যেও সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কের বিষয়টি তুলে ধরেন। 

    'আমার মতে, শুধুমাত্র পশ্চিমী মিডিয়াই নয়, ভারতের মধ্যেও, ভারতের আশেপাশে সংখ্যালঘু বা বিশেষ করে, মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে দাবি করা হয় যে এটি মোটেও ভাল জায়গা নয়। কিন্তু সেটা মোটেও সত্য নয়৷ গবেষণাটি বিশ্বব্যাপী তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছিল,' প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের শমিকা রবি বলেন।
  • Link to this news (আজ তক)