আজকাল ওয়েবডেস্ক: জোড়া শতরানে প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকল গুজরাট টাইটান্স। শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে ৩৫ রানে হারালেন শুভমন গিলরা। প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তোলে গুজরাট। জবাবে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৬ রানে থামে চেন্নাইয়ের ইনিংস। ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের লাস্টবয় থেকে আট নম্বরে উঠে এল গুজরাট। জিইয়ে রাখল শেষ চারের আশা। অন্যদিকে হারলেও এখনও প্লে অফে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ধোনিদের। আইপিএলের ইতিহাসে নতুন নজির শুভমন গিলের। তাঁর ব্যাট থেকে এল আইপিএলের শততম শতরান। শুক্রবার রাতে ৫০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন গুজরাটের অধিনায়ক। আইপিএলে এটা গিলের চতুর্থ শতরান। প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জিততেই হত গুজরাটকে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জিতে সেই সম্ভাবনা জিইয়ে রাখলেন গিলরা। এদিন মরণ-বাঁচন ম্যাচে এল জোড়া শতরান। শুভমনের পাশাপাশি সেঞ্চুরি করেন সাই সুদর্শনও। দু"জনেই ৫০তম বলে একশোয় পৌঁছন। তবে আগে শতরান করেন গিল। বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছেন শুভমন। এদিন আগাগোড়া প্রায় দুশোর কাছাকাছি স্ট্রাইক রেট রেখে শতরান করে তারই জবাব দেন গুজরাটের নেতা। ওপেনিং পার্টনারশিপ ২১০। ১৮ তম ওভারে জুটি ভাঙে। ততক্ষণে আইপিএলে যুগ্মভাবে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। ৬টি ছয়, ৯টি চারের সাহায্যে ৫৫ বলে ১০৪ রান করেন গিল। অন্যপ্রান্তে ৫১ বলে ১০৩ রান করেন সাই। ৭টি ছয়, ৫টি চার দিয়ে ইনিংস সাজান। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ওভার থেকেই নিজেদের মনোভাব স্পষ্ট করে দেয় গুজরাটের ওপেনাররা। দলের তিন প্রধান পেসারকে ছাড়াই নেমেছিল চেন্নাই। তার পুরোদমে ফায়দা তোলে গুজরাটের ওপেনিং জুটি। শুভমন, সাইয়ের দাপটে ২০ ওভারের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তোলে গুজরাট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় চেন্নাই। টপ অর্ডার ডাহা ফ্লপ। মাত্র ১০ রানে ৩ উইকেট হারায় ধোনিরা। প্রথম দু"ওভারের মধ্যেই ফিরে যান অজিঙ্ক রাহানে (১), রচিন রবীন্দ্র (১)। শূন্যতে ফেরেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। চতুর্থ উইকেটে ১০৯ রান যোগ করেন ড্যারেল মিচেল এবং মঈন আলি। দু"জনেই অর্ধশতরান করেন। ৩টি ছয়, ৭টি চারের সাহায্যে ৩৪ বলে ৬৩ করেন মিচেল। ৪টি ছয় ও চারের সাহায্যে ৩৬ বলে ৫৬ রান করেন মঈন। দলকে ম্যাচে ফেরান দুই বিদেশি তারকা। কিন্তু এরা আউট হতেই আশা শেষ। শিবম দুবে (২১), রবীন্দ্র জাদেজা (১৮) শুরুটা ভাল করলেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি। শেষদিকে ১১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন ধোনি। আরও একবার অন্তিমলগ্নে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও খেলেন। তবে তার আগেই ম্যাচ তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। রশিদ খানের শেষ ওভারে দুটো ছক্কা এবং চার হাঁকিয়ে হারের ব্যবধান কমান চেন্নাইয়ের হার্টথ্রব।