অবসরকালীন টাকা হাতে আসেনি; অসুস্থ হয়ে মৃত্যু শিক্ষিকার, ডিআই অফিসে ধরনায় বসলেন শিক্ষকরা
২৪ ঘন্টা | ১১ মে ২০২৪
সৌরভ চৌধুরী: অবসরকালীন টাকা পাননি। শেষপর্যন্ত অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক শিক্ষিকার। এনিয়ে জেলা ঝাড়গ্রাম ডিআই অফিসে ধরনায় বসলেন উচ্চ মাধ্যমিক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক শিক্ষিকারা। তবে ডিআই অফিসের দাবি, এর পেছনে ডিআই অফিসের কোনও গাফিলতি ছিল না। গোটা বিষয়টি বিকাশভাবনে রয়েছে।
পেশায় উচ্চ মাধ্যমিক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকা ছিলেন শম্পা মৈত্র। শম্পা গত ১৪ মাস আগে অবসর নেন। জানা গেছে অবসরকালীন সময় চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক শিক্ষিকারা ৩ লক্ষ টাকা পান। কিন্তু শম্পা মৈত্র অবসর এরপর প্রায় ১৪ মাস ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও সেই টাকা তিনি পাননি। বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে জানিও টাকা না পেয়ে মানষিক ভাবে বির্যস্ত হয়ে পড়েন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত কয়েকদিন আগে অসুস্থতার কারনে মৃত্যু হয় শিক্ষিকার।চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা যথেষ্টই কম বেতনে কাজ করেন। ফলে অবসরের পর যা টাকা পান তাদের বাকি জীবন যাপন কোনো ক্রমে চলে। তবে এক্ষেত্রে প্রায় ১৪ মাস হলেও শম্পা মৈত্র টাকা পাননি। ফলে অসুস্থতার চিকিৎসা করতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল শম্পাকে। শেষমেষ টাকার অভাবে চিকিৎসা না করাতে পেরে মৃত্যু হয় শম্পা মৈত্রর। এই ঘটনা যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয় এবং শম্পা দেবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এর দাবিতে ঝাড়গ্রাম জেলা ডিআই অফিসের এর মূল ফটক আটকে অনশনে বসেন উচ্চমাধ্যমিক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক শিক্ষিকারা। অবশেষে ডিআই শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায় অনশনরত শিক্ষক দের সাথে কথা বলে মৃত শিক্ষিকার সমস্ত ডকুমেন্টস যাচাই করে বিকাশ ভবনে সমস্ত বিষয় ফোন করে জানায়। এরপর ১০দিন সময় চেয়ে নেন আন্দোলনকারিদের কাছে। ১০দিন সময় দিয়ে আপাতত ধরনা ভঙ্গ করেন আন্দোলনকারিরা।এনিয়ে ডিআই বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের যারা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক তারা মাসের শেষ একটি সাম্মানিক পান। কোনও বেতন তাঁরা পান না। অবসর গ্রহণের পর তাঁরা ৩ লাখ টাকা পান। এখানে ননীবালা বয়েজ স্কুলে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ছিলেন শম্পা মৈত্র। উনি গত ২০২২ সালে অবসর নেন। ওঁর স্কুল থেকে কিছু কাগজ এখানে জমা দেওয়া হয়। তা আমরা বিকাশ ভবনে পাঠিয়ে দিই। এবছর জানুয়ারি মাসে বিকাশ ভবন থেকে কিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়। তাই সব জিজ্ঞাসার জবাব আমরা পাঠিয়েছি। তা এখন ওখানে প্রসেসিং চলছে। দুর্ভাগ্যক্রমে দিদিমনি হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। অত্যন্ত অনভিপ্রেত ঘটনা। টাকা পেতে দেরি হওয়ায় অনেকের খারাপ লেগেছে। এখানে আমাদের কোনও কোনও গাফিলতি ছিল না। আমরা এনিয়ে উপরতলায় যোগাযোগ করেছি। তারা অনুমোদন দিলে আমরা টাকা তাঁর ওয়ারিশের হাতে তুলে দেব।