বিধান সরকার: রাজ্যপালের উচিত পদত্যাগ করা। আর তো কদিন, জুন মাসের পর আর তিনি রাজ্যপাল থাকতে পারবেন না! শ্রীরামপুরে প্রচারে বেরিয়ে বললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যপালের উচিত পদত্যাগ করা। তার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ এসেছে অভিযোগ সত্য কি মিথ্যা তার তদন্ত হওয়া উচিত। বিশাখার জাজমেন্ট আছে। এমনটা তো নয় যে রাজ্যপালের ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য নয়।
যে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে তাতে কিছুই দেখা যায়নি। বরঞ্চ দেখা যাচ্ছে মহিলাটি কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসছে। কেন বেরিয়ে আসছে? সত্য মিথ্যা যাই হোক আমি কিসের মেরিটে যাচ্ছি না। উনি এত বড় বড় কথা বলেন, আইনের কথা বলেন, এত মরালিটির কথা বলেন, তাহলে আজকে কেন পদত্যাগ করছে না।একটা নিরপেক্ষ বিচার হতো তারপর না হয় আসতো। আসতে তো আর পারবেনা কারণ জুন মাসের পর মোদী আর থাকবে না। এমনিই রাজ্যপালকে চলে যেতে হবে। কেজরিওয়াল প্রসঙ্গে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বলল নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর কি করে তোমরা তাকে গ্রেফতার করলে। নরেন্দ্র মোদী যে কতটা পক্ষপাত দুষ্ট তা বারবার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট ওই কারণেই জামিন দিয়েছে যাতে ভোটে প্রচার করতে পারে।গতকাল যে ইনকাম ট্যাক্স রেড হয়েছে লকেট হারবে বলেই মোদী এটা করিয়েছে। যদি কোন অভিযোগ থাকে তুমি আগে করাওনি কেন। শুভেন্দুর কোথায় চলছে। ওর তো কোন বীরত্ব নেই। নরেন্দ্র মোদীর মুখ অমিত শাহের শরীর। কোটি কোটি টাকা সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স, ইডি আর দুর্নীতিগ্রস্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো জজ তবে ও নেতা হয়েছে।শ্রীরামপুরের বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর শ্রীরামপুরে প্রচারে বেরিয়ে বলেছিলেন, তৃণমূলের একটা শ্লোগান ছিল বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। আমরাও এবার বলছি বাংলা নিজের মেয়েকেই চাইবে। যে মানুষ শ্রমিক কৃষক মজদুরদের পাশে থাকবে। সেই প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ও আগে বলুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করতে চায়। দিল্লিতে যে মেয়ে থাকে সে আবার বাংলার মেয়ে কখন হল। জন্মে যেই একটু বড় হয়েছে তারপর দিল্লিতে চলে গেছে। হারে আর দিল্লি চলে যায়।এদিন শ্রীরামপুরে কল্যাণের মহামিছিলে চললো রাজনৈতিক স্লোগানের সঙ্গে নাচ। সকালে শ্রীরামপুরের কালিতলা থেকে শ্রীরামপুর মাহেশ পর্যন্ত তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহামিছিল করেন। পায়ে হেঁটে শ্রীরামপুরের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ সারেন কল্যাণ। তারই মাঝে শ্রীরামপুর বটতলায় দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক স্লোগানের তাল দেন তিনি।