• একটি ভোটকেন্দ্রে মাত্র দু’টি বুথ, হাজার দুই ‘বাইরে’র ভোটারের জন্য জোর প্রস্তুতি উত্তর বন্দর থানার
    প্রতিদিন | ১১ মে ২০২৪
  • অর্ণব আইচ: মাত্র দু’টি বুথ। তাতে ভোটারের সংখ‌্যা সর্বসাকুল্যে হাজার দুই। তাও প্রায় সব ভোটারই ‘বাইরে’র। আর এই ‘বাইরে’র ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন, তার জন‌্যই জোর প্রস্তুতি কলকাতার উত্তর বন্দর থানার। সারা শহরের এই একটিমাত্র থানা, যাতে রয়েছে মাত্র একটি ভোটকেন্দ্র। যদিও এর আরও উপরে ময়দান থানা। ময়দান থানা এলাকায় কোনও ভোটকেন্দ্র বা বুথই নেই। যদিও তাতেও স্বস্তি নেই ওই থানার পুলিশকর্মী ও আধিকারিকদের। ভোটের সময় ময়দান থানার পুলিশকে ডিউটি করতে হবে অন‌্য থানা এলাকায়।

    ভোটের প্রস্তুতিতে ব‌্যস্ত কলকাতা পুলিশ। একেকটি এলাকায় শতাধিক বুথ পর্যন্ত রয়েছে। কলকাতায় ভোটের আর এক মাসও বাকি নেই। শহরের প্রত্যেকটি থানার পুলিশই ভোটকে কেন্দ্র করে নিজের মতো ব‌্যস্ত। গঙ্গার ধারের এই থানাটিতে ব‌্যস্ততার ছোঁয়া লাগলেও লালবাজারের কর্তাদের মতে, অন‌্য থানাগুলির তুলনায় এ যেন কিছুই না। কলকাতার সব থেকে কম সংখ‌্যার ভোটকেন্দ্র বা বুথের পরিসংখ‌্যান নেওয়া হলে তার শীর্ষে রয়েছে এই উত্তর বন্দর থানার নামই। এই থানা এলাকার নিমতলা ঘাটের কাছে রয়েছে একটি স্কুল। আপার প্রাইমারি এই স্কুলটিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। স্কুলের ছাত্রের সংখ‌্যাও যে খুব বেশি, এমনটা নয়। কিন্তু ভোটের আগে এই ছোট স্কুলটিই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে উত্তর বন্দর থানার আধিকারিকদের কাছে। ওই থানার প্রতে‌্যক আধিকারিক ও পুলিশকর্মীর নজর ওই স্কুলবাড়িটির উপরই। কারণ, এই স্কুলটিই উত্তর বন্দর থানার একমাত্র ভোটকেন্দ্র। এই ভোটকেন্দ্রটিতে রয়েছে দু’টি মাত্র বুথ। একেকটি বুথে ভোটারের সংখ‌্যা হাজারখানেক। দু’টি বুথে ভোটারের সংখ‌্যা হাজার দু’য়েক হলেও অত সংখ‌্যক ভোটারও অতীতে ভোট দিতে আসেননি এই ভোটকেন্দ্রে। আবার ওই ভোটারদের প্রায় কেউই উত্তর বন্দর এলাকার বাসিন্দা নন। তাঁদের মধে‌্য বেশিরভাগই উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকার বাসিন্দা।

    কিন্তু তাতেও ব‌্যস্ততার সীমা নেই পুলিশের। হোক না একটি মাত্র ভোটকেন্দ্র। কিন্তু এখানেও এই মাসের শেষে অর্থাৎ ভোটের আগের দিনই এসে পৌঁছবেন ভোটকর্মী ও ভোট আধিকারিকরা। আর ইভিএম পাহারা দেওয়া ও ভোটকেন্দ্রের ভিতর নিরাপত্তার জন‌্য হাজির হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। কম সংখ‌্যক হলেও ভোটকর্মী ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন‌্য এখন থেকেই তৈরি হতে হচ্ছে উত্তর বন্দর থানার পুলিশকে। ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করতে হয়েছে পুলিশ আধিকারিকদের। যেহেতু নিয়ম মেনে ভোটের আগের রাত নির্বাচন আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোটকেন্দ্রে কাটাতে হবে, তাই স্কুলে পর্যাপ্ত আলো, জল, শৌচাগারের মতো পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে সমস‌্যা না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হচ্ছে পুলিশকেই। স্কুলের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করবে লালবাজার। কিন্তু ওই একটি কেন্দ্র ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তার জন‌্য এলাকায় জোর টহল দেবে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)