জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আইপিএলের (IPL) ১৬ বছরের বর্ণময় ইতিহাস, এই লিগে নাম লেখানো প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কিন্তু আজ অস্তিত্ব নেই। ডেকান চার্জাস (Deccan Chargers), গুজরাত লায়ন্স (Gujarat Lions), কোচি টাস্কার্স কেরালা (Kochi Tuskers Kerala), রাইজিং পুণে সুপার জায়ান্টসের (Rising Pune Super Giants) মতো টিম বিভিন্ন কারণে লিগ থেকে উবে গিয়েছে। আর কোচি টাস্কার্স কেরালা টিমে খেলতেন এস শ্রীসন্থ (S Sreesanth)। তিনি। সাফ বলে দিলেন যে, কোচি টাস্কার্স কাউকে বেতন দেননি।দ্য় রণবীর শো পডকাস্টে এসে শ্রী বলেন, 'ওদের প্রচুর টাকা দিতে হবে। এখনও টাকা দেয়নি। মুথাইয়া মুরলীথরন স্য়র, মাহেলা জয়বর্ধনে আপনার শোয়ে নিয়ে আসুন। তাঁরাও বলবেন এই কথা। টাকা পাননি ব্রেন্ডন ম্য়াকালাম ও রবীন্দ্র জাদেজা। আমার মনে হয় বিসিসিআই তো আপনাদের টাকা দিয়েছে। তাহলে দয়া করে আমাদের টাকা দিন। যখনই টাকা দেবেন, মনে রাখবেন প্রতি বছরের ১৯ শতাংশ সুদও দেবেন। আশা করি আমার সন্তানদের বিয়ের সময়ে টাকা পেয়ে যাব। দলের তিন বছর থাকার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম বছরের পরেই তারা বেরিয়ে যায়। আমার মনে হয় না এই নিয়ে কেউ কথা বলেছে। যখন প্লেয়ারদের দেখা হয়, তখন তারা এই নিয়ে আলোচনা করে। একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এই বিষয়ে একটি কথাও বলেনি।' শ্রীসন্থ আইপিএলে কেরালা ছাড়াও পঞ্জাব ও রাজস্থানের হয়ে খেলেছেন অতীতে।২০১৩-র আইপিএলে ফিক্সিং কাণ্ডের পর জীবনের সব থেকে দুঃসময়ের মধ্য়ে কাটিয়েছেন শ্রীসন্থ। ২০১৫ সালে শ্রীসন্থ, অজিত চান্ডিলা এবং অঙ্কিত চহ্বানকে স্পট ফিক্সিং মামলা থেকে মুক্ত করে দিয়েছিল দিল্লি আদালত। আদালতের রায় তাঁদের পক্ষে গেলেও বিসিসিআই কিন্তু শ্রীসন্থকে আজীবন নির্বাসিত করার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। কিন্তু বোর্ডের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি। এর পরই কেরল হাইকোর্ট শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে সাত বছর করার নির্দেশ দেয়। ফলে শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ সাত বছর পর ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীসন্থের মাঠে ফেরার প্রতি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।