জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতকালই তিহাড় জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুক্তি পেয়েই বলেছিলেন, 'এই তানাশাহি জনতা শেষ করবে। মানুষ ন্যায় করবে।' শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে একেবারে অন্যরকম দাবি করলেন কেজরিওয়াল। এক গুরুত্বপূর্ণ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন। সেটি হল, ফের ক্ষমতায় এলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলে পুরবেন মোদী।
সাংবাদিক সম্মেলনে কেজরিওয়াল বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে কিছুদিনের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলে পাঠাবে। আমি লিখে দিতে পারি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে মমতা দিদি, তেজস্বী যাদব, এমকে স্তালিন, পিনারাই বিজয়ন-সহ বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের জেলে পাঠাবে। মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে পুরে সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপির। সেই কারণেই আমি ইস্তফা দিইনি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের ইস্তফা দেওয়া উচিত হয়নি। বিজেপি যে রাজ্যে পরাস্ত হবে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই জেলে ঢুকিয়ে সরকার ফেলার চক্রান্ত করবে।"শুধু বিরোধী রাজনীতিবিদই নয় বিজেপির নেতাদের নিয়েও মন্তব্য করেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী, শিবরাজ সিংহ চৌহান, বসুন্ধরা রাজে, এমএল খট্টর, রমন সিংহদের রাজনীতি শেষ। ওদের পরবর্তী লক্ষ্য যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকেও ছাড়বে না।দেশের একাধিক সংবাদমাধ্য়ম ও সংস্তা যেখানে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকেই এগিয়ে রাখছে সেখানে কেজরিওয়ালের দাবি লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোট ২২০-২৩০ আসন পেতে পারে। দিল্লি, রাজস্থান, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, ঝাড়খন্ড সব রাজ্যেই বিজেপির আসন সংখ্যা কমবে। জেল থেকে বেরিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আপ একটি ছোট দল। দুটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে আম আদমী পার্টি। এই দলকে শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কম চেষ্টা করেননি। দলের ৪ শীর্ষ নেতাকে জেলে পাঠিয়েছেন। ভেবেছিলেন পার্টি শেষ। কিন্তু আপ একটা দল নয়, একটা ভাবনা। যত জেলে পাঠাবেন, তত বাড়বে। একনায়ক তন্ত্রের বিরুদ্ধে আমি লড়ছি। মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইছি, দেশকে বাঁচান। একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে দেশকে বাঁচান।আমাকে জেলে পাঠিয়েছেন। অথচ দেশের সবথেকে বড় চোর এবং ডাকাতদের নিজের দলে ঢুকিয়েছেন। যার বিরুদ্ধে ৭০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, তাকে বিজেপিতে নিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী করে দিচ্ছেন।"