শেষ পর্যন্ত ঘাটাল লোকসভা আসন সিপিআইয়ের জন্যই ছেড়ে দিল কংগ্রেস। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। তবে এআইসিসি-র প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রার্তী-তালিকায় ঘাটালের নাম থেকে যাওয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। এআইসিসি-র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তালিকায় ঘাটালের নাম রয়ে গিয়েছিল ভুলবশত। সেখানে কংগ্রেস কোনও প্রার্থী দিচ্ছে না। প্রাথমিক ভাবে কংগ্রেসের ঘোষিত প্রার্থী পাপিয়া চক্রবর্তীকে দলের প্রতীকও দেওয়া হয়নি। ওই কেন্দ্রে সিপিআইয়ের তপন গঙ্গোপাধ্যায়ই বাম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থী।
ঘাটালে বরাবরই বামফ্রন্টের তরফে লড়াই করে সিপিআই। গত এপ্রিলে সেই কেন্দ্রে কংগ্রেস পাপিয়ার নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করায় সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এআইসিসি-র কাছে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। তার পরে কলকাতায় এসে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মির ঘোষণা করেছিলেন ঘাটালে প্রার্থী-পদ স্থগিত রাখা হচ্ছে। প্রার্থীর বিরুদ্ধে সে দিন কলকাতার বিধান ভবনে এসে মিরের কাছে আপত্তি জানিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের কিছু নেতা-কর্মীও। এ সবের পরেও এআইসিসি-র ঘোষিত তালিকায় ঘাটালের উল্লেখ ছিল। এমতাবস্থায় রাজ্যে এসে এআইসিসি-র সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহ বলেছেন, ‘‘তালিকায় ভুলবশত ঘাটালের নাম থেকে গিয়েছিল। ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দিচ্ছে না। এই নিয়ে আর কোনও সংশয় নেই।’’ পাপিয়াও ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে জানিয়ে প্রার্থী-পদ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, একই রকম পরিস্থিতিতে প্রার্থী-পদ প্রত্যাহার করেননি কোচবিহারের কংগ্রেস প্রার্থী পিয়া রায়চৌধুরী। ওই কেন্দ্রে বামফ্রন্টের তরফে ফরওয়ার্ড ব্লক এবং কংগ্রেস, দু’দলের প্রার্থীই ভোটে লড়েছেন।